#মুম্বই: লিওনোরা রেমন্ডের (Leonora Raymond) বয়স একশো। কিন্তু তাতে কী? অনেকেই হেসে-খেলে এই বয়সে ঘুরে বেড়ান। কিন্তু বেঁচে থাকা আর বাঁচার মতো বাঁচা ক'জন পারেন? লিওনোরা পেরেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর এই অফুরন্ত জীবনীশক্তির রহস্যও তিনি ফাঁস করে দিয়েছেন। সবার উদ্দেশ্যেই তিনি দিয়েছেন পাঁচখানা অত্যন্ত জরুরি উপদেশ। আর এই উপদেশ দেওয়ার ভিডিও ইন্টারনেটে আসতেই ভাইরাল হয়ে পড়েছে। হবে না-ই বা কেন? কত কঠিন কঠিন বই, কত বাণী, কত কিছু জটিল গবেষণা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন লিওনোরা। সামান্য পাঁচটি কথা, এইটুকু জানতে গেলে অত কিছু জটিলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় না। হিউম্যানস অফ বম্বে নামের এক Instagram পেজে লিওনোরার এই ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে।
জীবন সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত উপদেশ দিচ্ছেন একশো বছরের লিওনোরা- এইরকম ক্যাপশন দিয়ে ভিডিওটি Instagram রিল ভিডিওতে পোস্ট করা হয়।
View this post on Instagram
তাহলে এমন কী উপদেশ দিলেন এই বৃদ্ধা যা মেনে নিয়েছেন আট থেকে আশি সবাই? সবার আগে লিওনোরা বলেছেন প্রয়োজন না হলে বিয়ে করার দরকার নেই। অর্থাৎ সিঙ্গল থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তাহলে কি লিওনরা নিজেও সিঙ্গল? না, এটা অনুমান মাত্র। কিন্তু সম্ভবত তিনি বলতে চেয়েছেন খামোখা অন্য মানুষকে আঁকড়ে ধরে বাঁচার দরকার কী বাপু?
ওঁর দ্বিতীয় পরামর্শটি বোধহয় সোনায় বাঁধিয়ে রাখা উচিৎ। ফেলে দাও স্মার্টফোন, বলেছেন তিনি। তিন নম্বরে রয়েছে একটি অর্থনৈতিক উপদেশ। প্রতি বছর এক মাসের মাইনের সমান টাকা জমিয়ে রাখো। জীবন নিয়ে এত কিছু ভাবার দরকার নেই। আর শেষ উপদেশটি সত্যিই মন ছুঁয়ে যায়। যদি দেখো কারও মুখে হাসি নেই, তাহলে সেটা দেওয়ার চেষ্টা করো।
এমনিতেই আমাদের দেশে ষাটের উপরে বয়স হলেই তাঁকে বাতিলের দলে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। ছেলে-মেয়ে বা কোনও অবলম্বন না থাকলে কী ভাবে বাঁচব অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধাই এটা ভাবেন। সেখানে লিওনোরা যেন আলোকবর্তিকা। অনেক কিছু প্রথাগত ধারণাই ভুল প্রমাণ করেছেন তিনি!