#কলকাতা: কাশির শব্দের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যার রহস্য! ব্যাপারটা ভেঙেই বলা যাক। আমাদের কাশি হলে ভালো করে লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে, কাশির (Cough) শব্দ আলাদা আলাদা রকম হচ্ছে। আসলে শ্বাসযন্ত্রের এক-এক রকম সমস্যার কারণে কাশির শব্দও বদলে যায়। আর সেই কাশির শব্দ শুনেই এ বার বোঝা যাবে, শ্বাসযন্ত্রে কী ধরনের সমস্যা (Respiratory Problems) হয়েছে। সৌজন্যে একটি অ্যাপ। যা কাশির শব্দ ট্র্যাক করে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার কথা জানিয়ে দেবে আমাদের।
আমেরিকার স্টার্ট-আপ হাইফ (Hyfe) এই অ্যাপ এনেছে। এটি আমরা নিজেদের স্মার্টফোনে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারি। আর একটা ভালো বিষয় হল, এই অ্যাপটি একেবারেই বিজ্ঞাপন মুক্ত। কী ভাবে কাজ করবে হাইফ অ্যাপ? কারও কাশি হলে এই অ্যাপটি কাশির শব্দের একটা ডেটাবেস বানিয়ে নেবে। আর এই ডেটাবেসই ওই অ্যাপটিকে কয়েকটি অবস্থা চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে। আসলে হাইফ কাশির শব্দ শুনে তা বিশ্লেষণ করে আমাদের জানিয়ে দেবে যে, শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত কেমন ধরনের সমস্যা হচ্ছে। অ্যাপটি প্রকাশিত হওয়ার আগে এর মধ্যে মোট সাত লক্ষ ধরনের শব্দ নথিভুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শ্বাসযন্ত্রের কোনও রকম দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
স্পেনের নাভারা বিশ্ববিদ্যালয় (University of Navarra) এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে জোট বেঁধেই আমেরিকার স্টার্ট-আপটি ওই অ্যাপ বানিয়েছে এবং এই অ্যাপটিকে খাঁটি ডায়াগনস্টিক টুল বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। পামপ্লোনা এবং তার আশপাশের এলাকার অন্তত ৮০০ জন মানুষ গবেষণায় অংশ নিয়েছিল। হাইফ অ্যাপের মাধ্যমে রাতে তাদের কাশির উপর নজরদারি চালানো হয়েছিল। আসলে শ্বাসযন্ত্রে কোনও রোগ আছে কি না, সেটা সঠিক ভাবে এই অ্যাপটি আদৌ চিহ্নিত করতে সক্ষম কি না, সেটা পরীক্ষা করাই ছিল এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গে পরবর্তী কালে মহামারী ঘটবে কি না, সেটাও এই গবেষণায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।
আরও পড়ুন- কিছুতেই বেগ সামলাতে পারছেন না? বারবার প্রস্রাব পাচ্ছে? জানুন কীভাবে ঠেকাবেন...
এ বার আসা যাক, হাইফ অ্যাপের কাজের পদ্ধতির কথায়। মেশিন লার্নিং বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে এই অ্যাপটি স্মার্টফোন অথবা পরিধানযোগ্য ডিভাইজের মাধ্যমে সঠিক সময়ে ব্যবহারকারীর কাশির উপর নজরদারি চালাবে। এর পর কত বার অথবা কত ক্ষণ অন্তর কাশি হচ্ছে এবং কাশির তীব্রতা- এই দুই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে অ্যাপ ব্যবহারকারীর শ্বাসযন্ত্রের সম্ভাব্য সমস্যা সহজেই খুঁজে বার করা যাবে।
এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিশাল একটা দিক খুলে যাবে। মনে করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে অ্যাকাউস্টিক এপিডেমিওলজি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটাবে। কারণ কাশি, হাঁচি, নাক ডাকা, শ্বাস নেওয়ার সময় সাঁ সাঁ আওয়াজ হওয়া- এ সবের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে রোগ নির্ণয় সংক্রান্ত তথ্য। অর্থাৎ প্রতিটি বিষয়ের আওয়াজ থেকেই বোঝা যায় যে, কী ধরনের রোগ হয়েছে। ফলে আওয়াজ শুনে সহজেই রোগ নির্ণয় করতে পারবেন চিকিৎসকেরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cough and cold