কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড (Provident Fund) বা PF হল একটি অবসর বেনিফিট স্কিম। যা বেতনভোগী সমস্ত কর্মচারীদের জন্য উপলব্ধ। ২০ জন বা তার বেশি কর্মচারী রয়েছে এমন সমস্ত কোম্পানি তাদের কর্মচারীদের বেতন থেকে EPF কাটতে পারবে। সাধারণত একজন কর্মচারী তার মূল বেতনের ১২ শতাংশের মধ্যে ৩.৬৭ শতাংশ একটি কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড বা EPF-এ বিনিয়োগ করে এবং এর ৮.৩৩ শতাংশ কর্মচারীর পেনশন প্রকল্পে যায়।
সুতরাং অন্যতম সেরা সঞ্চয় প্ল্যাটফর্মের মধ্যে প্রভিডেন্ট ফান্ড হল অন্যতম। প্রতি মাসের বেতন থেকে সঞ্চিত এই অর্থ কর্মচারীরা তাদের অবসর গ্রহণের পর ব্যবহার করতে পারেন।
বর্তমান EPF সুদের হার কত?
EPFO বার্ষিক ভিত্তিতে EPF তহবিলগুলিতে সরবরাহ করা সুদের হারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ মন্ত্রকের কথায়, এই সুদের হার বাজারের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। EPF তহবিলের বর্তমান সুদের হার ৮.৫ শতাংশ। যা ২০২০-২১ অর্থবর্ষের সুদের হারের সঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে।
EPF-এর সুদের গণনা:
যদি আমরা ধরে নিই যে EPF, বেসিক বেতন এবং মূল্যবৃদ্ধি ভাতা ১৫,০০০ টাকা এবং বর্তমান সুদের হার ৮.৫ শতাংশ। তাহলে EPF সুদের গণনা করলে যা হবে-
বেসিক বেতন + D.A.= ১৫,০০০ টাকা
EPF-এর প্রতি কর্মচারীর অবদান = ১৫,০০০ টাকার ১২ শতাংশ অর্থাৎ ১৮০০ টাকা
EPS-এ কর্মচারীর বিনিয়োগ = ১৫,০০০ টাকার ৮.৩৩ শতাংশ = ১২৫০ টাকা
EPF-এ কর্মচারীর বিনিয়োগ = ১৫,০০০ টাকার ৩.৬৭ শতাংশ = ৫৫০ টাকা (৫৫০.৫০ টাকা)
মোট বিনিয়োগ = ২,৩৫০ টাকা
বর্তমান সুদের হার ৮.৫ শতাংশ
মাসিক অপারেটিং ব্যালেন্সের উপর সুদের হার গণনা করা হয়, তাই প্রতি মাসে প্রযোজ্য সুদ = ৮.৫০ শতাংশ/১২ = ০.৭০৮৩ শতাংশ
প্রথম মাসের জন্য EPF-এ বিনিয়োগ = ২,৩৫০ টাকা
প্রথম মাসের জন্য EPF-এ কোনও সুদ নেই
দ্বিতীয় মাসের বিনিয়োগ = ২,৩৫০ টাকা
মোট EPF ব্যালেন্স = ৪,৭০০ টাকা
মে মাসের জন্য EPF বিনিয়োগের উপর সুদ = ৪,৭০০ টাকা * ০.৭০৮৩ শতাংশ = ৩৩.২৯ টাকা
নিষ্ক্রিয় EPF অ্যাকাউন্টে সুদের হার
কোনও EPF অ্যাকাউন্ট হোল্ডার যদি ৫৫ বছর বয়সের পরে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ বা তার মৃত্যু হয় বা স্থায়ী ভাবে বিদেশে চলে যান, সেক্ষেত্রে ৩৬ মাসের পর থেকে আর কোনও সুদ পাওয়া যাবে না EPF অ্যাকাউন্টে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Provident Fund