হোম /খবর /লাইফস্টাইল /
নিজেকে কুৎসিত মনে করেন, হীণমন্যতা কমাতে ফোনের বিউটি ফিল্টার সরাচ্ছে গুগল পিক্সেল

নিজেকে কুৎসিত মনে করেন, হীণমন্যতা কমাতে ফোনের বিউটি ফিল্টার সরাচ্ছে গুগল পিক্সেল!

Photo-Representative

Photo-Representative

সারা বিশ্ব জুড়ে চলা আন্দোলন এবং তার জেরে আইনি মতামতের প্রেক্ষিতে নানা প্রসাধনী সংস্থা ফর্সা গায়ের রং নিয়ে মাতামাতি করাটা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।

  • Last Updated :
  • Share this:

#নয়াদিল্লি : খেয়াল আছে তো, 'ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি' এখন হয়ে গিয়েছে 'গ্লো অ্যান্ড লাভলি'? ঠিক তেমনই এ বার গুগল তাদের পিক্সেল ফোন থেকে সরিয়ে নিচ্ছে বিউটি ফিল্টার!

সারা বিশ্ব জুড়ে চলা আন্দোলন এবং তার জেরে আইনি মতামতের প্রেক্ষিতে নানা প্রসাধনী সংস্থা ফর্সা গায়ের রং নিয়ে মাতামাতি করাটা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। ঘটনা নতুন কিছু নয়, সে অনেক দিন হল। কিন্তু সমস্যা একটা থেকেই গিয়েছে। সেটা মানুষের মনে। হাজার হোক, বহু বছর ধরে মগজধোলাইয়ের ফল তো! ফলে সাদা গায়ের রং মানেই দারুণ সুন্দর আর কালো গায়ের রং মানেই দেখতে বাজে- এই ধারণা আমাদের মন থেকে মুছে যায়নি। সঙ্গে রয়েছে ব্যাকরণগত ভাবে প্রচলিত সৌন্দর্যের সংজ্ঞা নিয়ে ধারণা। মানে টিকোলো নাক বনাম বোঁচা নাক ইত্যাদি প্রভৃতি!

তাই খুব সহজেই বহু বছর ধরে জনপ্রিয় হয়েছে স্মার্টফোনের বিউটি ফিল্টার। তা ডিফল্ট মোডে রেখে এক ক্লিকেই গায়ের রং উজ্জ্বল করে তোলা, মুখশ্রী ধারালো করে তোলা কোনও ব্যাপারই নয়!

গুগল কিন্তু বলছে ব্যাপারটা শুরু হয় আসলে এর ঠিক পর থেকেই। ওই ছবি আপলোড করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়, লাইক আর কমেন্টের জোয়ারও আসে। কিন্তু বাস্তবের মানুষটিকে দেখে মুখ ঘুরিয়ে নেন অনেকেই। আর তাতেই ধাক্কা খায় মানসিক স্বাস্থ্য। মন এটা মেনে নিতে পারে না যে এই বিউটি ফিল্টার আদতে এক রকমের প্রতারণা। নিজের সঙ্গেও, অন্যের সঙ্গেও। তাই কেউ প্রত্যাখ্যান করলে আত্মবিশ্বাসের পারদ যায় পড়ে, মনের আকাশ ছেয়ে যায় অবসাদের কালো মেঘে।

তাই ঠিক করেছে গুগল- তাদের নতুন পিক্সেল ফোনে বিউটি ফিল্টার আর থাকবে না। ছবি ঘষা-মাজা করার জন্য পিক্সেল ৪এ, পিক্সেল ৪এ উইথ ৫জি এবং পিক্সেল ৫ ফোনে কিছু বেসিক টুলস অবশ্য থাকবে। এতে দোষ নেই, ব্যাপারটা অনেকটা টাচ-আপের মতো। কিন্তু যে হেতু তা থাকবে না ডিফল্ট মোডে, তাই ছবি তোলার পর সিদ্ধান্ত নেবেন ইউজার- ওই টুলস তাঁর প্রয়োজন আছে কি নেই! জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে যে গায়ের রং, চোখের তলার অংশ আর মণির ঔজ্জ্বল্য- কেবল এই তিনের ক্ষেত্রে খুব সামান্য পরিবর্তনই আনা যাবে সংস্থার এই ফেস রিটাচিং টুলস দিয়ে। এই উদ্যোগ যে অনেকের মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখবে, তা নিয়ে আশাবাদী সংস্থার প্রোডাক্ট ম্যানেজার বিনীত মোদিও।

তা, সব শেষে নিজেকে স্বীকার করে নেওয়াই কি ভালো নয়? আপনি কী বলেন?

Published by:Debalina Datta
First published:

Tags: Google, Smartphones