হোম /খবর /প্রযুক্তি /
WhatsApp-এ কতোটা সুরক্ষিত আপনার ডেটা, Telegram কীভাবে আলাদা, জেনে নিন

WhatsApp-এ কতোটা সুরক্ষিত আপনার ডেটা, Telegram কীভাবে আলাদা, জেনে নিন

আর হোয়াটঅ্যাপের এই আপডেটেড পলিসি অনুযায়ী, সংস্থার অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলির সঙ্গে শেয়ার করা হতে পারে ব্যবহারকারীর তথ্য। এক্ষেত্রে মালিকানাধীন সংস্থা ফেসবুক (Facebook) ও তার অধীনস্থ অন্য অ্যাপেও শেয়ার হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ ডেটা। এর পাশাপাশি সব সময়ে ব্যবহারকারীর লোকেশন ডেটাও ট্র্যাক করতে পারবে অ্যাপটি।

আর হোয়াটঅ্যাপের এই আপডেটেড পলিসি অনুযায়ী, সংস্থার অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলির সঙ্গে শেয়ার করা হতে পারে ব্যবহারকারীর তথ্য। এক্ষেত্রে মালিকানাধীন সংস্থা ফেসবুক (Facebook) ও তার অধীনস্থ অন্য অ্যাপেও শেয়ার হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ ডেটা। এর পাশাপাশি সব সময়ে ব্যবহারকারীর লোকেশন ডেটাও ট্র্যাক করতে পারবে অ্যাপটি।

জেনে নিন হোয়াটসঅ্যাপ আর টেলিগ্রামের মধ্যে পার্থক্য কী

  • Last Updated :
  • Share this:

হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) আর টেলিগ্রাম (Telegram) ব্যবহারকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খবর। যদিও এমন খুব কম ইউজারই আছে যাদের ফোনে এই দুটি অ্যাপ নেই। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবেছেন যে এই প্লাটফর্মগুলিতে আপনি যে তথ্য পাঠাছেন সেটি কতোটা সুরক্ষিত? কারণ এই প্লাটফর্মগুলির জন্য বেশ কিছু বলিউডের অভিনেত্রীদের গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ায় আরও সন্দেহ বেড়ে গিয়েছে। জেনে নিন এই দুটি প্ল্যাটফর্ম ব্যক্তিগত তথ্য গোপনীয়তার ক্ষেত্রে কতোটা সুরক্ষিত।

হোয়াটসঅ্যাপ এন্ড-তো-এন্ড এঙ্ক্রিপশন পলিসি (End-to-End Encryption Policy) ব্যবহারকারীদের ভরসা দেয় যে এই প্লাটফর্মে ইউজার নিজেদের আত্মীয়, প্রিয়জন ও বন্ধুদের সঙ্গে মেসেজে বলা কথা বার্তা, ছবি, ভিডিও সব ডেটা পুরোপুরি গোপনীয় আর সুরক্ষিত রাখা থাকে। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের ফাঁস হওয়া চ্যাট তার গোপনীয়তার উপর প্রশ্ন তুলছে। আর এই কারণে এখন অনেক ইউজার হোয়াটসঅ্যাপে ছেরে টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। সেই জন্য হঠাত্‍ করে হোয়াটসঅ্যাপের ডাউনলোড নম্বর পড়তে দেখা গিয়েছে।

অন্য দিকে টেলিগ্রাম জানিয়েছে যে তাদের ৪ কোটি মাসিক ইউজার হয়ে গিয়েছে। আর গত বছর থেক এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ইউজার বেড়েছে। উল্লেখযোগ্য, প্রায় ১.৫ মিলিয়ান ইউজার রোজ টেলিগ্রাম অ্যাপটিকে ডাউনলোড করছে। জেনে নিন হোয়াটসঅ্যাপ আর টেলিগ্রামের মধ্যে পার্থক্য কী?

১। টেলিগ্রামে এমন একটি ফিচার রয়েছে যা ব্যবহারকারীদের একটি চ্যাট টাইমার সেট করতে দেয়, এবং একটি নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সেটিকে ডিলিট করে ফেলার অধিকার দেয়। সহজ কথায়, চ্যাট এবং ছবিগুলি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট হয়ে যার।

২। টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীরা তাদের চ্যাটগুলির স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য একটি নোটিফিকেশন পান আর গোপন চ্যাট ফরোয়ার্ড না করার জন্য মেসেজও পেয়ে থাকেন।

৩। হোয়াটসঅ্যাপের বিপরীতে টেলিগ্রাম ইউজারদের কাছে একটি ইউজারনেম (Username) থাকে যা নিশ্চিত করে যে ব্যবহারকারীর পরিচয় সুরক্ষিত রয়েছে।

৪। টেলিগ্রামে কোনও ফোন নম্বর ছাড়াই যোগাযোগ করা সম্ভব। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপে এখন কোনও ফিচার নেই।

৫। আপনি টেলিগ্রামের মাধ্যমে ১.৫ জিবি পর্যন্ত যে কোনও ফাইল পাঠাতে পারবেন, কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও, ছবি এবং ডকুমেন্ট ফাইলগুলি সীমিত উপায়ে পাঠানো যায়।

যদিও, এই ফিচারগুলি টেলিগ্রামকে একটি আকর্ষণীয় চ্যাটিং অ্যাপে পরিণত করেছে, কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপে এখনও ১.৬ বিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। গ্রুপ ভিডিও কল ফিচার, এন্ড টু এন্ড এঙ্ক্রিপশন এবং আরও অনেক বেশি ব্যবহারকারীদের উপর ভিত্তি করে চ্যাটিং অ্যাপের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ এখনও সবার মধ্যে জনপ্রিয় রয়েছে।

Published by:Ananya Chakraborty
First published:

Tags: Telegram, Whatsapp