নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ায় দাম বেড়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ির। চলতি বছরের শুরুতেই এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় গাড়িপ্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। তার মধ্যে রয়েছে Honda-ও। কিন্তু এরই মাঝে এবার সংস্থার অন্যতম জনপ্রিয় গাড়ি Honda City-র ফিফথ জেনারেশন বের করল তারা। ভারতে তৈরি এই গাড়ি শুধু এখানকার গ্রাহকদের কথা ভেবে বানানো হয়েছে এমন নয়। বিদেশের বাঁ-হাতি চালকদের কথা ভেবেও তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, Honda City-র ফিফথ জেনারেশনের রপ্তানির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
জাপানের গাড়ির প্রস্তুতকারক সংস্থা Honda-র অন্যতম পুরনো গাড়ি এই Honda City। যা ১৯৮১-র নভেম্বরে বাজারে আনা হয়। সেই সময়ে তিন দরজার হ্যাচব্যাক গাড়ি ছিল Honda City। যা মূলত রপ্তানি করা হত এশিয়ার কয়েকটি দেশে। এবং পরে লাতিন আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ায়। এর পর ১৯৮২ সালে Honda City Turbo আসে। ১৯৮৬ সালে এই গাড়ির সেকেন্ড জেনারেশন আসে। এবং তার পর অর্থাৎ ১৯৯৪ থেকে তিন দরজার গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসা বাড়ায় Honda এবং বিভিন্ন দেশে এই মডেল বিভিন্ন নামে বিক্রি হতে শুরু করে।
ব্যাপক চাহিদা থাকায় সে ভাবে Honda City-কে কখনও ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে ফিফথ জেনারেশন নিয়ে চলে এসেছে তারা। এবং এই জেনারেশনের গাড়িতে দু'টি অপশন থাকছে। রাইট হ্যান্ড ড্রাইভ ও লেফ্ট হ্যান্ড ড্রাইভ। বৃহস্পতিবার সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, Honda Cars India (HCIL) ফিফথ জেনারেশনের গাড়িটি লেফ্ট হ্যান্ড ড্রাইভ যে দেশে চলে, সেখানে রপ্তানি করা হবে।
তাদের তরফে আরও জানানো হয়, এই জেনারেশনের Honda City-গুলির একটি অংশ গুজরাতের পিপাভাভ পোর্ট ও চেন্নাইয়ের এন্নড় পোর্ট থেকে মধ্য প্রাচ্যে ইতিমধ্যেই পাড়ি দিয়েছে। সংস্থার কর্ণধার গাকু নাকানিশি বলেন, তাপুকারায় এই গাড়ির নতুন জেনারেশন উৎপাদন হয়েছে। এই গাড়িতে আমরা বিশ্বমানের দামী প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করেছি, যাতে গাড়িটি বিশ্বের অন্যতম সেরা লাক্সারি গাড়ি হয়। এই গাড়ি বাঁ-হাতি ও ডান-হাতি, দুই ধরনের চালকদের জন্যই উপলব্ধ। যাতে দেশের এবং বিদেশের গ্রাহকদের একসঙ্গে আকর্ষণ করা যায়।
সংস্থার কর্ণধার আরও জানান, মেক ইন ইন্ডিয়ার পদক্ষেপকে আরও বাড়িয়ে নিয়ে যেতে এই প্রচেষ্টা করা হয়েছে। HCIL ৯০ শতাংশ গাড়িই ভারতে বানিয়েছে এবং উৎপাদনের সময় অবশ্যই পরিবেশ রক্ষার চেষ্টাও করা হয়েছে।
Honda City-র পাশাপাশি Amaze, WR-V-ও নেপাল, ভুটান, দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।