#নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের প্রভাবে শিয়রে সংকট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশে। আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে মৃত্যু মিছিল। দ্বিতীয় তরঙ্গে যে সব রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা দ্বিতীয় তরঙ্গের চিকিৎসা করতে গিয়ে লক্ষ্য করেছেন এই মুহূর্তে গুরুতর জটিলতা হল শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস হয়ে যাওয়া। আর সঠিক সময়ে নির্দিষ্ট চিকিৎসা না করাতে পারলেই রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। এবার আপনি ভাবতেই পারেন রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কখন কেমন থাকবে, তা আপনি টের পাবেন কী করে! সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের দাবি বাড়িতে একটা ভালো অক্সিমিটার (Oximeter) রাখতে হবে। অক্সিমিটার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কখন কেমন থাকছে তার সম্পর্কে আপনাকে অবগত রাখবে। তাই নিজেকে আপডেট রাখতে সঙ্গে অক্সিমিটার রাখা জরুরি। আজকাল সমস্ত বড় হাসপাতালে এই ধরনের গ্যাজেটগুলি ব্যবহার করা হয়।
পালস অক্সিমিটার কী?
পালস অক্সিমিটার (Pulse Oximeter) হল একটি ছোট ডিভাইজ যেটা একটা কাপড় মেলার ক্লিপের মতো দেখতে। এই ডিভাইজে হাতের একটা আঙুল ঢুকিয়ে রাখার জায়গা রয়েছে। যার সাহায্যে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আপনার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কেমন তা ছোট স্ক্রিনে ফুটে উঠবে (SpO2 পরিমাপে সংখ্যা দেখাবে)। বেশিরভাগ সুস্থ মানুষদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ শতাংশের ওপরে থাকে। আর যাদের শরীরে কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে, তাদের ৯৫ শতাংশের নিচে নামতে শুরু করে। সেক্ষেত্রে রোগীর চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও ডিভাইজটি প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বিটের মধ্যে একজন সুস্থ ব্যক্তির জন্য হৃদস্পন্দনের মাপ দেখাতে পারে। তবে শ্বাসকষ্ট যদি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যায় তাহলে অবশ্যই হাসপাতালে যেতে হবে। এছাড়াও নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। কারণ এই মুহূর্তে পরিস্থিতি যা, তাতে সবই যে হাতের নাগালের মধ্যে রয়েছে এমনটা বলা যায় না। ফলে মহামারীর সময়ে সকলে যদি নিয়মিত নিজেদের অক্সিজেনের মাত্রা নিজেরাই দেখে রাখেন তাহলে তার থেকে কিছুটা হলেও রোগীকে রক্ষা করা যেতে পারে।
কেন এটা আপনার প্রয়োজন?
বাড়িতে পালস অক্সিমিটার রাখা আপনার জন্য নিরাপদ, কারণ এই মহামারী সময়ে নিজের শরীরে অক্সিজেন লেভেল আপনি সহজেই দেখে নিতে পারবেন। আর যদি শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখেন তাহলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারেন। গত বছর, জুন মাস থেকে যখন করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকে সেই সময় দিল্লি সরকার যারা কোভিড ১৯ সংক্রমিত হয়ে বাড়িতে ছিলেন তাদের এই অক্সিমিটার প্রদান করেছিল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona, Coronavirus, COVID-19, Oximeters