#কলকাতা: বাংলা ক্রিকেট দল রঞ্জি ট্রফিতে বিদায় নিয়েছে একদিন আগেই মধ্যপ্রদেশের কাছে হেরে। মনোজ তিওয়ারি এবং শাহবাজ দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেও বাংলার বাকি ক্রিকেটাররা সেভাবে ভরসা দিতে পারেনি। ঋদ্ধিমানের অভাব বোঝা গেছে। অনেকেই মনে করছেন তার অভাব পূর্ণ করতে পারেননি অনভিজ্ঞ অভিষেক পোড়েল।
আরও পড়ুন - Neymar, Brazil : এই বিশ্বকাপটা নেইমারের! ব্রাজিলকে থামানোর মত কেউ নেই, বলছেন কার্লোসসিএবি কর্তার সঙ্গে ঝামেলার জেরে বাংলা ছাড়ার কথা বহু দিন আগেই বলেছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। তবে কোন রাজ্যে নিজের নাম লেখাতে চলেছেন ঋদ্ধি, তা নিয়ে জল্পনা ছিল। জানা গিয়েছে, ঋদ্ধি নাকি ত্রিপুরার ক্রিকেট টিমে যোগ দেওয়ার জন্য কথাবার্তা চালাচ্ছেন। তবে শুধু প্লেয়ার হিসেবে নয়। প্লেয়ারের পাশাপাশি নতুন ভূমিকায় দেখা যেতে পারে তাঁকে।
সেটা হল মেন্টরের ভূমিকায়। এক কর্মকর্তা পিটিআই-কে বলেছেন, তিনি ত্রিপুরার প্লেয়ার-কাম-মেন্টর হতে চাইছেন। এই নিয়ে ত্রিপুরার কিছু অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কিন্তু এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি। তিনি আরও যোগ করেছেন, ওঁকে প্রথমে সিএবি এবং তার পর বিসিসিআই-এর থেকে ছাড়পত্র (এনওসি) পেতে হবে এবং তার পরে এই বিষয়টি এগোবে।
এই বছরের শুরু থেকে নানা বিষয় নিয়ে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। তার উপর আবার ভারতীয় দল থেকেও তাঁকে বিনা কারণেই বাদ দেওয়া হয়। এই সব নিয়ে এমনিতেই মুষড়ে পড়েছিলেন তিনি। যে কারণে রঞ্জির প্রথম পর্বে খেলেননি ঋদ্ধি। প্রথমে তাঁর খেলার কথা থাকলেও, পরে তিনি সরে দাঁড়ান।
সেই সময়ে সিএবি-র যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস তাঁর দায়িত্ববোধ এবং দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাতেই চটে যান শিলিগুড়ির পাপালি। দেবব্রত দাসের করা মন্তব্য নিয়ে সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়ার কাছে বিহিত চেয়েছিলেন।
ঋদ্ধি দাবি করেছিলেন, এর জন্য সিএবি-র যুগ্মসচিবকে প্রকাশ্যে ঋদ্ধির থেকে ক্ষমা চাইতে হবে। সেই ক্ষমা দেবব্রতবাবু যদিও এখনও চাননি। তবে সিএবি ঋদ্ধিমান সাহাকে এনওসি দিতে ঝামেলা করবে না। অভিষেক ডালমিয়া আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তারা ঋদ্ধিমানকে আটকানোর পক্ষপাতী নন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Wriddhiman Saha