#কলকাতা: সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। ভারতীয় টেস্ট দলের (Indian Cricket Team) নেতৃত্ব থেকে বিরাটের (Virat Kohli) সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তকে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের একাংশ মনে করছেন এটাই সঠিক। না হলে ওডিআই ফরম্যাটের মত বিরাটকে হয়তো বোর্ড কর্তারা টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিতেন খুব তাড়াতাড়িই। আসলে নিজের দেয়াল লিখন পড়তে পেরেই নাকি "সঠিক" সিদ্ধান্ত বিরাটের (Virat Kohli)। টেস্ট ক্যাপ্টেন কোহলি এটাই ভবিতব্য ছিল, আসলে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ বক্তব্য ছাড়াও বোর্ড সূত্র থেকে উঠে আসছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। বর্তমানে বিতর্কের শীর্ষে থাকা বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) টেস্ট দলের নেতৃত্ব ধরে রাখতে গেলে নাকি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জিততে হত এবং নিজেকেও ব্যাটে বড় রান করতে হত।
এই দুটোর কোনটাই প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে করতে পারেননি কোহলি। শেষ টেস্ট ম্যাচে কেপটাউনে প্রথম ইনিংসে ৭৯ করা ছাড়া বাকি ৩ ইনিংসে সেভাবে দাগ কাটতে পারেন নি কোহলি। পিঠের চোটের জন্য জোহানেসবার্গে খেলতে পারেননি। দু বছরের বেশি সময় বিরাটের সেঞ্চুরি নেই। নিজের অধিনায়কত্ব ধরে রাখতে গেলে কোহলিকে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে বড় রান করতেই হতো। আর সিরিজ জিততে না পারলেও অন্তত কম শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিরুদ্ধে সিরিজ ড্র করে ফিরতে হতো। আর এইগুলো কোনটাই না হওয়ায় বিরাট নিজেই নাকি নিজের ভবিষ্যৎ বুঝতে পেরে টেস্ট দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত (Virat Kohli Resigns) নিয়েছেন সিরিজ হারার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই। আসলে সিরিজ শুরুর আগে বোর্ডের সঙ্গে রীতিমতো সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিরাট (Virat Kohli)। নাম না করে বোর্ড সভাপতি সৌরভকে (Sourav Ganguly) মিথ্যেবাদী আখ্যা দিয়ে ফেলেছিলেন সদ্য প্রাক্তন অধিনায়ক। গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তের পর সৌরভ সহ ভারতীয় বোর্ড কর্তারা বিরাটকে নিজেই সিদ্ধান্তের বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ করেছিলেন বলে খবর। এমনকি সংবাদমাধ্যমে সৌরভ (Sourav Ganguly) সে কথা জানান।
আরও পড়ুন - U19 WC: ফের কি ভারতীয় ক্রিকেট দল পারবে অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিততে, চিনে নিন হেভিওয়েটদের
তবে সিরিজ শুরুর আগে বিরাট স্পষ্ট করে দেন বোর্ডের তরফ থেকে টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক চালিয়ে যাওয়ার জন্য কোন অনুরোধ তার কাছে আসেনি। এবং এক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে রীতিমত অন্ধকারে রেখেই একদিনের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিরাটের এই মন্তব্যের পরই শুরু হয় বিতর্ক। কোহলির আচমকা এই মন্তব্যে ঝড় ওঠে। সেই ঘটনার পর থেকে বিরাট ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। বিরাট প্রসঙ্গে এক মাস কোন মন্তব্য করেননি সৌরভ। যদিও এর মাঝেই গত বছরের শেষ দিন বিরাট সত্যি কথা বলছেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় নির্বাচক কমিটির প্রধান চেতন শর্মা। আর এরপর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় বিরাটের মন্তব্যে খুব একটা ভালোভাবে নেননি বোর্ড কর্তারা।
আরও পড়ুন - MS Dhoni-র এক্স গার্লফ্রেন্ড Raai Laxmi- খোলামেলা ছবিতে রূপের তুফান, দেখুন ভাইরাল ফটো
সূত্রের খবর, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের যাতে কোনো রকম প্রভাব না পড়ে সেই জন্য বিরাটের অসৎ মন্তব্যের পরেও কোনো ব্যবস্থা নেননি বোর্ড কর্তারা। বিসিসিআই বিষয়টি ধীরে চলো নীতি নিয়ে এগোচ্ছিল। কর্তারা অপেক্ষা করছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে বিরাটের পারফর্মেন্স এবং দলের পারফরমেন্সের উপর। এমনকি সূত্রের দাবি, বোর্ড কর্তারা গত মাসে ঠিক করে রেখেছিলেন বিরাট টেস্ট দল থেকেও অধিনায়কত্ব ছাড়তে আর কোন অনুরোধ করা হবে না। তাই শনিবার দুপুরে বোর্ড কর্তাদের বিরাট নিজের সিদ্ধান্ত জানানোর পর আর কোন অনুরোধ করা হয়নি বলেই খবর। এমনকি বিষয়টা যেহেতু বোর্ড কর্তারা জানতেন তাই বিরাটের নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণার ১০ মিনিটের মধ্যেই টুইট করা হয় বিসিসিআইয়ের (BCCI) তরফে। সফলভাবে টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রশংসা করা হয় এবং আগামীর জন্য ক্রিকেটার বিরাটকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। আসলে নিজের দেয়াল লিখন হয়তো টেস্ট ম্যাচ হারার সঙ্গে সঙ্গেই পড়ে ফেলেছিলেন বিরাট। সেই জন্যই হয়তো ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে নেতৃত্ব ছাড়ার কথা সতীর্থদের জানিয়ে দিয়েছিলেন কোহলি। শুধু অনুরোধ করেছিলেন এই খবরটি যেন তার ঘোষণার আগে প্রকাশ্যে না আসে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: BCCI, Sourav Ganguly, Virat Kohli