#কলকাতা: অন্য কোনও বোলার নয়। অশোক দিন্দা হতে চান আকাশদীপ। সুযোগটা হঠাৎ করেই সামনে চলে এসেছে। আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের নেট বোলার হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পাড়ি দিচ্ছেন বাংলার এই ফাস্ট বোলার। আইপিএল নিলামে নাম থাকলেও কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি আকাশদীপকে দলে নেয়নি মাসখানেক আগে। তবে সে দুঃখ ভুলে রঞ্জি ট্রফিতে নিজের সেরাটা তুলে ধরেছিলেন আকাশ।
৯ ম্যাচে ৩৫ টি উইকেট নিয়ে বাংলাকে তুলেছিলেন ফাইনালে। তার আগের মরশুমে অনূর্ধ্ব ২৩ দলের এসেছিল আরও সাফল্য। বিহারের সাসারাম জেলার ছেলে আকাশ। ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলতে কলকাতায় চলে আসেন। তারপর থেকেই বাংলার বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক দলে সুযোগ। গতবছর অশোক দিন্দার জায়গাতেই বাংলা রঞ্জি প্রথম একাদশে সুযোগ পান আকাশদীপ। অশোক দিন্দার মত সিনিয়র বোলারকে সরিয়ে বাংলা দলে জায়গা পেলেও আইপিএলে অশোক দিন্দা হতে চান আকাশ।
বিহারে নিজের বাড়ি থেকে ফোনে আকাশ জানান, "একসময় অশোক দিন্দা কেকেআরের নেটে বল করতে গিয়েছিলেন। নেটে ওকে দেখে রিকি পন্টিংয়ের খুব পছন্দ হয়। তারপর দলে সুযোগ পেয়ে যায়। আমিও চাই অশোক দিন্দার মত রাজস্থানের নেটে নিজের সেরাটা দিতে। বেন স্টোকস, স্টিভ স্মিথদের বল করতে পারাটা স্বপ্নের বিষয়। যদি ভালো বল করতে পারি তাহলে আমিও একদিন আইপিএল খেলতে পারব।"
লকডাউন শুরু থেকেই বিহারের নিজের গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন আকাশ। সেখানে নিয়মিত অনুশীলন চলছে। নেটে বোলিংও শুরু করে দিয়েছেন ডানহাতি এই ফাস্ট বোলার।
অন্যদিকে সায়ন ঘোষ নিজেকে ফের একবার প্রমাণ করতে চেষ্টায় মরিয়া। আকাশের মতো সায়নও সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আয়োজিত হওয়া আইপিএলে নেট বোলার হিসেবে বাংলা থেকে সুযোগ পেয়েছেন। কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের সঙ্গে থাকবেন সায়ন। মালিঙ্গার মত অবিকল সেই অ্যাকশনে বল করা সায়ন অতীতে দুই বছর আইপিএল-এ সুযোগ পেয়েছিলেন। ২০১৭ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং ২০১৮ সালে দিল্লি ক্যাপিটালস দলে ছিলেন সায়ন। তবে কোনও ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি।চাকদার সায়ন তাই নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া। কিংস নেটে গেইল, কে এল রাহুলদের বল করে নজরে আসতে চান কলকাতার মালিঙ্গা। কিংসের কোচ অনিল কুম্বলের থেকেও টিপস পেতে চান সায়ন।
কলকাতার মালিঙ্গা জানান, "সুযোগটা আচমকা পেলেও নিজেকে প্রস্তুত রাখছি। আরেকবার নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পেয়েছি। আশাকরি নেটে ভালো বল করব। পঞ্জাবের দলে বাংলার মহম্মদ শামি ও ঈশান পোড়েল থাকবে। ফলে সব সময় ওদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগ করতে পারব। বলা তো যায় না যদি ফের সুযোগ পাই আইপিএল খেলার। তবে সুযোগ পেলেই কুম্বলে স্যারের থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ নেব।"
আকাশদীপ, সায়ন নেট বোলার হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে গেলেও একটা সুযোগ থাকছে আইপিএল খেলার। যদি ফ্রাঞ্চাইজির কোনও ক্রিকেটার চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় তাহলে বিকল্প হিসেবে সুযোগ চলে আসলেও আসতে পারে। তবে এই বিষয় নিয়ে ভাবতে নারাজ দুজনেই। যে সুযোগটা পেয়েছেন সেটা কাজে লাগাতে তৈরি বঙ্গ দুই পেসার। নিলামে আকাশ ও সায়নের বেস প্রাইস ছিল ২০ লক্ষ টাকা। রাজস্থান ও পঞ্জাব দলের পক্ষ থেকে তাঁদের বেস প্রাইসের ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। তবে টাকা নয় বাংলা দুই ক্রিকেটার চান আইপিএলের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে নেট বোলার হিসেবে নিজেদের ছাপ তৈরি করতে।
Eeron Roy Burman
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: IPL 2020