#কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে এক মঞ্চে থাকা হচ্ছে না বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি নবনির্মিত মোতেরা স্টেডিয়ামে গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিন সম্ভবত থাকছেন না সৌরভ। সূত্রের খবর, রবিবারই গুজরাতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সৌরভ। ঘনিষ্ঠ মহলে মহারাজ জানিয়েছেন, ডাক্তারের পরামর্শ মেনেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ডাক্তাররা আপাতত কয়েকদিন বোর্ড সভাপতিকে বাড়িতে থাকারই পরামর্শ দিয়েছেন।
এই মুহূর্তে সৌরভকে ভ্রমণ করতে বারণ করেছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। তিন সপ্তাহ আগেই সৌরভের হৃদযন্ত্রে দুটি স্টেইন্ট বসানো হয়েছে। দু' সপ্তাহ বিশ্রামের পর বাড়িতে থেকে কাজকর্ম শুরু করেছেন সৌরভ। বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং এর কাজও শুরু করে দিয়েছেন ইতিমধ্যে। তবে সবটাই বাড়ি থেকেই হচ্ছে। বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত দুটি কাজ বেহালার বাড়িতেই করেছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। বিসিসিআই সংক্রান্ত সমস্ত কাজ বাড়িতে এবং বাড়ি লাগোয়া নিজের অফিস থেকেই করছেন তিনি। ভিডিও এবং টেলিকনফারেন্স মাধ্যমে বোর্ডের সমস্ত কাজ সারছেন মহারাজ। যদিও সরস্বতী পুজোর দিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সৌরভ জানিয়েছিলেন, তিনি ভারত-ইংল্যান্ড গোলাপি বলে টেস্টে উপস্থিত থাকবেন। গুজরাতে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলেন। কিন্তু ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শের পরেই সেই সিদ্ধান্ত বদল করলেন সৌরভ।
শারীরিক কারণে সৌরভ মোতেরা স্টেডিয়ামে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও, ফের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। আসলে মোদি-শাহদের সঙ্গে সৌরভের থাকা বা না থাকা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবিরেই চর্চা তুঙ্গে। সাম্প্রতিক সময়ে সৌরভকে ঘিরে বহু রাজনৈতিক জল্পনা তৈরি হয়েছিল। বিজেপির হয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে পারেন সৌরভ এরকমও শোনা যাচ্ছিল৷
তৃণমূলে তরফ থেকেও সৌরভকে নাকি ভোটে দাঁড়ানো প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। সূত্রের খবর ছিল, সৌরভকে বিজেপিতে যোগদান করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। এমনকী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও নাকি সৌরভকে রাজনীতিতে আসার জন্য আসরে নেমেছিলেন। দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার এক অনুষ্ঠানে সৌরভ-শাহের উপস্থিত থাকা নিয়ে বেশ জল্পনা হয়। তবে ঘনিষ্ঠমহলে সৌরভ বরাবরই রাজনীতিতে যোগদান করার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেছেন। তার মধ্যেই গত জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় দিন হৃদরোগে আক্রান্ত হন সৌরভ। হাসপাতালে প্রথমে একটি স্টেইন্ট বসানো হয়। ডাক্তারের পরামর্শে জানুয়ারি মাসের শেষে ফের আরও দুটটি স্টেইন্ট বসে তাঁর। তারপর থেকে সৌরভের রাজনৈতিক জল্পনা অনেকটাই ধামাচাপা পড়ে যায়।
(ইরন রায় বর্মন)