কলকাতা: বাংলা বনাম ঝাড়খণ্ড রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনাল দেখতে ইডেনে উপস্থিত হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ম্যাচের প্রথম দিন ঘণ্টাখানেক মাঠে সময় কাটালেন দাদা। ঝাড়খণ্ড ইনিংসের ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মাঠে ঢোকেন সৌরভ। প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত ইডেনে ছিলেন প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি। ইডেনের বক্সে বসে বাংলার বোলারদের লড়াই উপভোগ করেন মহারাজ।
প্রাক্তন অধিনায়কের সামনেই ঝাড়খণ্ডকে মাত্র ১৭৩ রানে অলআউট করে দেয় বাংলা। মরশুমে প্রথমবার মনোজ তিওয়ারিদের খেলা দেখতে হাজির হন দাদা। বেহালা থেকে বেরিয়ে চা বিরতির সময় ইডেনে খেলা ঢোকেন তিনি। যদিও প্রথম দিনের খেলা শেষে প্লেয়ারদের সঙ্গে আলাদা করে কোন কথা বলেননি সৌরভ। ইডেন থেকে বেরিয়ে সল্টলেকে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন দাদা। দাদার সামনে বাংলার বোলাররা নিজেদের মেলে ধরলেন কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম দিন।
সুরজ কুমারের ৮৯ রান না হলে মহেন্দ্র সিং ধোনির রাজ্যকে আরও বেকায়দায় পড়তে হত। সকালে টস জিতে বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। সকাল থেকে মেঘলা আকাশ এবং সবুজ উইকেটে বাংলার পেসাররা যে দাপট দেখাবেন তা প্রত্যাশিত। এবং তারা প্রত্যাশাপূরন করেছেন। মুকেশ কুমারের যোগদান যদি বাংলার পক্ষে আশীর্বাদ হয় তাহলে ম্যাচ শুরুর আগে ওয়ার্ম করতে গিয়ে সৌরভ তিওয়ারির হ্যামস্ট্রিং চোটে ছিটকে যাওয়া ঝাড়খণ্ডের পক্ষে বড় ধাক্কা।
আরও পড়ুন: ৪২ আসনে বিধানসভা ভোটে ত্রিপুরায় লড়াই করতে চলেছে তিপ্রামোথা
আরও পড়ুন: এবারের ভোটে ত্রিপুরার 'কিং'-ই হয়ে উঠতে পারেন অন্যতম 'কিং মেকার'। ব্যাপারটা কী?
চলতি রঞ্জি মরসুমে সৌরভ তিওয়ারির ব্যাট ছয়শো প্লাস রান করেছে। ফলে তার চোট ঝাড়খণ্ডকে শুরুতেই বেকায়দায় ফেলে দেয়। প্রথম থেকেই ঝাড়খণ্ড ব্যাটাররা নড়বড়ে ছিলেন। তিন নম্বরে নেমে সুরজ কুমারের ৮৯ রান সর্বোচ্চ। তবে তিনি দু’বার জীবন পেয়েছেন। ৫৫ রানে অভিমন্যু ঈশ্বরণ তাঁর ক্যাচ ফস্কান। ৭৩ রানে মনোজ তিওয়ারি তালুবন্দী করলেও আম্পায়ার বল মাটি ছুঁয়ে ছিল বলে আউটের আবেদন নাকচ করেন। ঝাড়খণ্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পঙ্কজ কুমারের ২১। ঈশান পোড়েল, আকাশদীপ, মুকেশ কুমার, আকাশ ঘটক বাংলার চার পেসার ঝাড়খণ্ডের ব্যাটারদের উইকেটে দাঁড়াতেই দিলেন না।
জাতীয় নির্বাচক প্রধান চেতন শর্মার সামনেই বিধ্বংসী আকাশ-মুকেশরা। বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলার বোলিং আক্রমণ ঘরোয়া ক্রিকেটে অন্যতম শক্তিশালী। কোয়ার্টার ফাইনালে শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ঝাড়খণ্ডের ব্যাটারদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। ১০ রানে প্রথম উইকেট যাওয়ার পরে ঝাড়খণ্ডের নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। একসময় ১২০ রানে সাত উইকেট চলে গিয়েছিল। এই সময় সুরজ কুমার টেল-এণ্ডারদের নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। যার জেরে ঝাড়খণ্ডের রান ১৮৩ এ পৌঁছয়। আকাশদীপ ৬২ রানে চার উইকেট নিয়েছেন। ঈশানের ঝুলিতে তিনটি এবং আকাশ ঘটক, মুকেশের একটি করে উইকেট।
শাহবাজ আহমেদকে দিয়ে বল করাননি মনোজ তিওয়ারি। গতির অস্ত্রে ঝাড়খণ্ডকে ব্যাকফুটে ঠেলে রাশ লক্ষীরতন শুক্লাদের হাতে। আলো কম হওয়ার কারণে বাংলার প্রথম ইনিংস শুরু হয়নি। প্রথম দিন মাত্র ৬৭ ওভার খেলা হয়। নক আউটে মাত্র ১৭২ রানের টার্গেট। বুধবার সকালেই ব্যাট করতে নামবে বাংলা। লাঞ্চের আগের সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অভিমন্যু ঈশ্বরন এবং কাজি জুনেইদ সইফি যদি বাংলার শুরুটা ভাল করতে পারেন তাহলে আশার আলো দেখা যেতেই পারে। তবে প্রথমদিকে ম্যাচের গতিপ্রতি দেখে বোঝা যাচ্ছে এই ম্যাচ ফয়সালা হবেই।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Sourav Ganguly