#কলকাতা: কথায় বলে, রাজা-উজিরও বাড়িতে স্ত্রীকে ডরান! কথাটায় হয়তো একটুও মিথ্যে নেই। তবে এই প্রবাদ নেহাতই মজার ছলে বাজারে চলে। স্ত্রীর প্রতি সম্মান ও সম্ভ্রম বজায় রাখেন প্রকৃত পুরুষ। আর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি স্ত্রীকে সঠিক মর্যাদা দেবেন, তা তো একেবারে কাম্য! তবুও একটি শো হোস্ট করেন সৌরভ। আর সেই শো-তে টুকটাক মজা তো করতেই হয়। দর্শকদের শো-তে মজিয়ে রাখাটাও একটা বড় কাজ। আর মহারাজ সেই কাজ সামলাচ্ছেন অবলীলায়।
দাদাগিরি অনুষ্ঠান যখন শুরু হয়েছিল, তখন অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। মাঠের সৌরভ কি ক্যামেরা সামলাতে পারবেন! কিন্তু সৌরভ বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিশ্বের তাবড় পেসারদের সামলানোর পর ক্যামেরা সামলানো তাঁর কাছে বড় কোনও ব্যাপার নয়। হোস্ট সৌরভ নিজেকে দাদাগিরির মঞ্চেও প্রমাণ করে ছেড়েছেন। তাঁর শো আট থেকে আশির পছন্দ। তা এমন শো-তে মাঝেমধ্যেই অতিথিদের সঙ্গে ঠাট্টা করেন সৌরভ। বিসিসিআই সভাপতির সেই ঠাট্টা বেশ উপভোগ করেন দর্শকরাও।
আরও পড়ুন- দু'পাশে দু'জন বাঘা রক্ষী! রোনাল্ডোর নিরাপত্তা এই যমজ ভাইদের হাতে
ছোট ছোট ঠাট্টায় সৌরভ বুঝিয়ে দেন, সেন্স অফ হিউমার তাঁর প্রবল। এবারও সেটাই হল। সম্প্রতি সেলেব স্পেশ্যাল এপিসোডে এসেছিলেন ঊষসী রায়। ‘বকুল কথা’র ঊষসী এদিন দাদাগিরিতে এসে সৌরভকেই একের পর এক প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেন। তবে দাদা এবারও সব প্রশ্ন সামলে দেন সাবলীলভাবে।
সৌরভকে র্যাপিড ফায়ার-এর আদলে প্রশ্ন করতে গিয়ে তিনি জিজ্ঞেস করেন বেশ কিছু সাধারণ প্রশ্ন। যেমন- পেস্ট ফুরিয়ে গেলে কী করেন, টিভি রিমোটের ব্যাটারি শেষ হলে তা বাড়ি মেরে ব্যবহার করেন কি না! তবে একটি প্রশ্নের উত্তর সৌরভ দেওয়ার পর প্রায় সবাই হেসে ফেলেন। দাদাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তিনি কখনও বিছানায় তোয়ালে রাখেন কি না! বিসিসিআই সভাপতি সটান জানিয়ে দেন, ‘কখনওই রাখি না। আমাকে তা হলে বাড়ি থেকে বের করে দেবে’।
সৌরভ সরাসরি স্ত্রী ডোনার নাম করেননি। তবে তাঁর ইঙ্গিত যে স্ত্রীর দিকেই ছিল, তা বুঝতে আর কারও অসুবিধা হয়নি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।