শিলিগুড়ি: শহরে ফিরলেই রিচা ঘোষকে নাগরিক সংবর্ধনা জানাবে পুরসভা। ঘোষণা করলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। একইসঙ্গে ঋদ্ধিমান সাহাকেও নাগরিক সংবর্ধনা জানানো হবে।
অনুর্ধ ১৯ টি২০ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার রিচা ঘোষের বাড়িতে আজ শুভেচ্ছা জানাতে যান মেয়র। রিচা এখন বিদেশে। তাঁর সাফল্য কামনা করে রিচার মা স্বপ্নাদেবীর হাতে তুলে দেন পুষ্পস্তবক।
মেয়রকে মিষ্টিমুখও করান রিচার মা। শহরের তো বটেই, মেয়রের পাড়ার মেয়ে আজ বিশ্বজয়ী দলের সদস্যা। স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত মেয়র। আবেগতাড়িতও বটে।
আরও পড়ুন- বিশ্ব জয়ী রিচাকে স্যালুট বাবার, মেয়ের জন্য করেছেন সারপ্রাইজ গিফটের ব্যবস্থা
রিচার সাফল্যে গর্বিত শহর, কিন্তু সেই উন্মাদনা নেই। যা ভাবাচ্ছে শহরের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের। বিশ্বকাপ ফুটবলে আর্জেন্টিনার কাপ জয় নিয়ে যে উন্মাদনা দেখিয়েছিল শহর শিলিগুড়ি। ভারতীয় মহিলা দলের কাপ জয়, রিচার সাফল্য নিয়ে উদাসীন শহর। কোনো হেলদোলই নজরে পড়েনি শহরে।
রিচার এহেন সাফল্যে খুশী তাঁর প্রথম কোচ গোপাল সাহা। তখন রিচার বয়স ৪, বাবা মানবেন্দ্র ঘোষের হাত ধরে বাড়ির পাশে শিলিগুড়ি কলেজ মাঠে যাওয়া শুরু।
বাঘাযতীন এথলেটিক্স ক্লাবের ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্পে ছেলেদের সঙ্গেই প্র্যাকটিস শুরু। তখন কোনো মেয়ে ক্রিকেটার মাঠে ছিল না। ছেলেদের সঙ্গে একযোগে প্র্যাকটিসে মনোনিবেশ। তারপর জেলা দল, সিএবিতে ডাক। বাংলার হয়ে বড় রানের ইনিংস।
"একটা জেদ, একাগ্রতা ছিল ওর। তখনই ভাবছিলাম ও একদিন জাতীয় দলের ক্যাপ পড়বে। এবং তাই হল। আগামীতে ও জাতীয় দলেরও নেতৃত্ব দেবে।" বলছিলেন ওর কোচ গোপাল সাহা।
আরও পড়ুন- বিয়ের দিনেই এত্ত বড় কেলেঙ্কারি ভারতীয় এই তারকার, জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল মানছে
প্রাক্তন ক্রিকেটার হিন্দোল সেনগুপ্তের গলাতেও সেই সুর। কাপ জয়ের পর জাতীয় পতাকা নিয়ে রিচার দৌড়ের ছবিটা এখোনো চোখে ভাসছে। ও আরো বড় ক্রিকেটার হবে। বলছিলেন হিন্দোল।
এদিকে যে শহর ঋদ্ধিমানের পর আর এক বিশ্বকাপার উপহার দিল। সেই শহরে নেই কোনো ক্রিকেট মাঠ। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে কোচেরা। মাঠ ভাড়া করে ক্রিকেট লিগ করতে হয় শিলিগুড়িতে, যা লজ্জার। প্রশাসনিক কর্তারা কি একবার নজর দেবেন? প্রশ্ন প্রাক্তনীদের।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।