এস সি ইস্টবেঙ্গল - ১(কোনে -আত্মঘাতী)
#গোয়া: অতিরিক্ত সময় ছয় মিনিট দিয়েছেন চতুর্থ রেফারি। এস সি ইস্টবেঙ্গল শিবিরে তখন প্রথম জয় তুলে নেওয়ার আনন্দ। ফুটবল কেন অনিশ্চয়তার খেলা তা আবার প্রমাণিত হল এদিন। দুই মিনিট বাকি। এমন অবস্থায় কর্নার থেকে আসা সামাদের তোলা বল হেড করে ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়িয়ে দিলেন জিকসন সিং। জয়ের দোরগোড়ায় এসেও জয় পাওয়া হল না। ছোট্ট একটা ভুল কেড়ে নিল লাল হলুদের স্বপ্ন। ম্যাচের শুরুটা কিন্তু ছিল লাল-হলুদের। বড়দিন আসতে এখনও কয়েকদিন বাকি। স্যান্টা ক্লজ উপহারের ঝুড়ি নিয়ে বেরোবেন, আনন্দে মেতে উঠবে পৃথিবী কয়েক দিনের অপেক্ষা। তার আগে ২০ ডিসেম্বর বড়দিন এসে গেল লাল হলুদ শিবিরে, দেখে তাই মনে হচ্ছিল। এস সি ইস্টবেঙ্গল চলতি আইএসএলে তাঁদের প্রথম জয় পেতে চলেছে। পরপর হার, হতাশা, অপমান থেকে অবশেষে মুক্তি। জিএমসি স্টেডিয়ামে ম্যাচের তেরো মিনিটের মাথায় কেরলের ডিফেন্ডার কোণের আত্মঘাতী গোলে লিড নেয় ইস্টবেঙ্গল। মাগোমা বল বাড়িয়েছিলেন রফিককে। বাঙালি ফুটবলারটি সময় নিয়ে মাইনাস করলেন বক্সে।
পিলকিংটন বল ফলো করে আসছিলেন। তার আগেই তাড়াহুড়ো করে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দিলেন কোণে। কপাল খারাপ ইস্টবেঙ্গলের। না হলে এই ম্যাচের স্কোর লাইন তাদের পক্ষে ৩-১ হওয়া উচিত ছিল। রফিক, মাগোমা, পিলকিংটন সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ব্যবধান বাড়াতে পারত লাল হলুদ। এদিন চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছিলেন ফক্স। ডিফেন্সে নেতৃত্ব দিলেন। ইরশাদের জায়গায় লেফট ব্যাকে বিকাশ জৈরু। অন্যদিনের মত রফিককে রাইট ব্যাকে না খেলিয়ে উপরে তুলে এনে সঠিক কাজ করলেন রবি ফাওলার। তিন বিদেশি স্টেইমান,মাগোমা এবং পিলকিংটন দারুন ফুটবল খেললেন। কেরল দ্বিতীয়ার্ধে তিনটে পরিবর্তন করেছিল ম্যাচে ফেরার জন্য। কিন্তু ফাইনাল থার্ড অঞ্চলে লাল-হলুদ ডিফেন্সকে খুব বেশি বিপদে ফেলতে পারছিল না তারা। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সতেরো বছরের তরুণ টমবা নজর কাড়লেন। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে গোপী পরিশ্রম করলেন।
কিন্তু হাতের মুঠোয় এসে যাওয়া তিন পয়েন্ট মাঠেই ফেলে আসতে হল। সন্তুষ্ট থাকতে হল মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে। টেবিলে একধাপ উঠে দশ নম্বরে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচ শেষে রবি জানিয়ে গেলেন জয় পেয়ে মাঠ ছাড়া উচিত ছিল এদিন। সেটাই ন্যায়বিচার হত। কিন্তু এক সেকেন্ডের মনোযোগের অভাব পুরো চিত্রটাই পাল্টে দিল। তবুও হতাশ হতে রাজি নন তিনি। দল কতটা উন্নতি করেছে আজকের ম্যাচ থেকেই পরিষ্কার। পাশাপাশি যে পরিমান সুযোগ ছেলেরা তৈরি করেছে তাতে ফিনিশিং আরও ভালো হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন ব্রিটিশ কোচ। ম্যাচ শেষে দেখা গেল মাঠে হতাশ হয়ে শুয়ে কয়েকজন লাল-হলুদ ফুটবলার। সেটাই স্বাভাবিক। এক সেকেন্ডের ভুল কেড়ে নিল জয়ের স্বপ্ন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Bengal