#বেঙ্গালুরু: অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ভারত উদয়ের নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে কয়েকদিন আগে। শুভমান গিল থেকে ঋষভ পন্থ, সিরাজ থেকে ওয়াশিংটন সুন্দর। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর নায়করা যেমন কৃতিত্ব পেয়েছেন, তেমনই সোশ্যাল মিডিয়ায় আর একজন ব্যক্তির নামে প্রশংসা ভরে গিয়েছিল। তাঁর প্রশংসা করতে পিছপা হননি প্রাক্তন ক্রিকেটার রাও। তিনি রাহুল দ্রাবিড়। এতদিন মুখ খোলেননি তিনি। তবে সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় দৈনিককে জানিয়েছেন,"গত কয়েকদিন ধরে শুনছি লোকে আমার প্রশংসা করছে। এর কোনও প্রয়োজন নেই। আমি সব কৃতিত্ব ক্রিকেটারদের দিতে চাই। এটা ঠিক দীর্ঘদিন আমি ওদের সঙ্গে কাজ করেছি। কিছু পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু মাঠে নেমে সেটা করে দেখানো সহজ নয়। ওঁরা কঠিন কাজটা সহজ করে দেখিয়েছে। তাই আমাকে নয়, তরুণ ক্রিকেটারদের কৃতিত্ব দিন"-স্বভাবসিদ্ধ বিনয়ী রাহুল ব্যক্ত করেছেন নিজের মত।
আসলে তিনি বরাবর পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করতে ভালোবাসেন। প্রচারে বিশ্বাসী নন, প্রচেষ্টায় বিশ্বাসী। ভারতের প্রাক্তন এই অধিনায়ক কিন্তু না থেকেও সেদিন ব্রিসবেনে ছিলেন। তিনি ছিলেন তাঁর ছাত্রদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে, অনুপ্রেরণা হয়ে। তরুণ ক্রিকেটাররা ভারতকে গর্বিত করলেন—এর নেপথ্যে তো আছেন ওই রাহুল দ্রাবিড়ই। ভারতের অনূর্ধ্ব উনিশ এবং এ দলের কোচ থাকাকালীন এই তরুণ ক্রিকেটাররা রোজ পেয়েছেন দ্রাবিড়ের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ।
Unnecessary credit, boys deserve all praise: Rahul Dravid reacts after being credited for Team India's successhttps://t.co/dYSLh4ToWe pic.twitter.com/u9HeCoxBAs
— Times Now Sports (@timesnowsports) January 24, 2021
ব্যাট বা বল হাতে ভাল প্রদর্শনের পাশাপাশি চাপের সময় স্নায়ু ঠান্ডা রাখার মত প্রয়োজনীয় ইনপুট পেয়েছেন তাঁদের প্রিয় রাহুল স্যারের থেকে। হয়তো দ্রাবিড়ীয় স্কুলে শিক্ষার জন্যই কম বয়সে এত পরিণত লেগেছে তরুণ ক্রিকেটারদের। না হলে একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটার চোটের কারণে ছিটকে গেলেও তরুণদের দেখে মনে হয়নি তাঁরা চাপে পড়তে পারে। আসলে বাড়ির ভিত মজবুত হলে বেশ কয়েক তলা বাড়ানো যায়। রাহুল দ্রাবিড়ের হাতে পড়ে ভারতীয় ক্রিকেটের ভিত মজবুত। সহজে টলানো সম্ভব নয়।
প্রাক্তন তারকা হিসেবে তাঁর সামনে অনেক কিছু করারই সুযোগ ছিল। তিনি ভারতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারতেন মর্যাদা নিয়ে, কোচ হিসেবে কিংবা অন্য কোনও ভূমিকায়। সারা দুনিয়া ঘুরে বিশেষজ্ঞ মতামত দেওয়ার কাজটাও তিনি করতে পারতেন, ধারাভাষ্যকার হিসেবে। কিন্তু এসবের ধারেকাছে যাননি। নিজেকে নিয়োগ করেছেন আগামীর ভিত গড়ার কাজে। এই জন্যই তিনি সকলের থেকে আলাদা।