#মুম্বই: আগেই জানা ছিল নতুন বছরে আইপিএল এর জন্য বড় করে নিলাম হবে না। ১১ফেব্রুয়ারি মিনি অকশন নিশ্চিত করার পাশাপাশি গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে ঠিক হয়েছে কুড়ি জানুয়ারির ভেতর ট্রেড উইন্ডো কাজে লাগাতে হবে। অর্থাৎ ক্রিকেটার নেওয়া এবং ছাড়া ওই তারিখের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। বিভিন্ন দল নিজেদের অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবে। কলকাতা নাইট রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্ট সরকারিভাবে কিছু ঘোষণা না করলেও সূত্রের খবর নতুন বছরে বেশ কিছু চমকে দেওয়ার মত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে তাঁরা। ব্যাট হাতে আমিরাতে গোটা টুর্ণামেন্টে বড় জোর দুটো ইনিংসে রান পেয়েছিলেন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। টুর্নামেন্টের মাঝপথে দায়িত্ব যায় ওয়েন মরগ্যানের ওপর। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক চেষ্টা করেছিলেন বটে, কিন্তু খুব একটা কিছু করতে পারেননি। ব্যাট হাতে অবশ্য যথেষ্ট সপ্রতিভ ছিলেন তিনি। শেষপর্যন্ত লিগে পাঁচ নম্বরে শেষ করে নাইটরা। কার্তিক অধিনায়ক হিসেবেও দাগ কাটতে ব্যর্থ।
ছেড়ে দেওয়া হতে পারে কুলদীপ যাদবকে। এই চায়নাম্যান স্পিনার গত দুই মরশুম ধরেই নিজের চেনা ছন্দে নেই। বেঙ্গালুরুর হয়ে চাহাল, পঞ্জাবের হয়ে মুরুগান অশ্বিন, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে রাহুল চাহার বা রাজস্থানের হয়ে শ্রেয়াস গোপাল ভারতীয় স্পিনারদের মধ্যে যতটা উজ্জ্বল ছিলেন সেই তুলনায় ব্যর্থ কুলদীপ। তবে সবচেয়ে বড় চমক হতে পারে প্যাট কামিন্সকে রিলিজ করে দেওয়া। বিশ্বের সেরা টেস্ট বোলার এই অস্ট্রেলিয়ান তারকাকে সাড়ে পনেরো কোটি টাকা খরচ করে দলে নিয়েছিল কেকেআর। কিন্তু সেই অনুপাতে তাঁর পারফরম্যান্স নেই। দশটি ম্যাচ খেলে মাত্র তিনটি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।
ব্যাট হাতে অবশ্য কয়েকটা ইনিংসে রান করেছিলেন। কিন্তু তাঁর ওপর মোহভঙ্গ হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের। এছাড়াও ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের খেলা ক্রিস গ্রিনকেও ছেড়ে দেওয়া প্রায় নিশ্চিত। ইংলিশ ওপেনার টম ব্যন্টন দুটো ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন বটে, কিন্তু ব্যর্থ। তিনিও বাদ পড়তে পারেন। ভারতীয়দের মধ্যে নিখিল নায়েক,সিধেশ লাড,এম সিদ্ধার্ত সম্ভবত বাদ পড়তে চলেছেন। যদিও এই তালিকা একেবারে সঠিক বলা যাবে না, কিন্তু কার্তিক এবং কামিন্স বাদ পড়তে চলেছে এটা বোধহয় প্রায় নিশ্চিত।