তাঁর হাই নিয়ে অনেক হায় হায় হয়েছিল। মাঠে নামার আগে সতর্ক করেছিলেন সমর্থকদের। তাঁর টস সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেক প্রাক্তন। তাঁদের জবাব দিয়েছিলেন টেলিভিশনের ভগবান বলে। রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ কিন্তু দিনের শেষে পাকিস্তানের আশাকে ভাসিয়ে রেখেই মাঠ ছাড়লেন। টেবলের তলানিতে থাকা দুই দেশ। সেই ম্যাচে টস জিতে সোজা ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাক অধিনায়ক। ভারতের বিরুদ্ধে হারের ধাক্কা কাটিয়ে প্রথম উইকেটে ৮১ রানের পার্টনারশিপ হয় ইমাম ও ফকরের ব্যাটে। দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হন ইমরান তাহির। এরমধ্যে সেরা হয়ে থাকল ইমামের কট অ্যান্ড বোল্ড। বাবর, হাফিজের পাশে এদিনের লর্ডসে উজ্জ্বল হয়ে থাকল হ্যারিস সোহেলের ৮৯। শোয়েব মালিকের বদলির ব্যাটেই প্রোটিয়াদের সামনে সাত উইকেটে ৩০৮ রানের স্কোর তৈরি করে পাকিস্তান। জেতার জন্য যা যথেষ্ট ছিল। সরফরাজের কাজ আরও সহজ করলেন দুই পাক বোলার ওয়াহাব রিয়াজ এবং শাদাব খান। শুরুতে আমেরের ধাক্কায় দিশাহীন প্রোটিয়া ব্যাটিং। মাঝের সময়ে শাদাবের স্পিনে বোকা বনে যাওয়া। আর শেষ বেলায় ওয়াহাবকে না ঠেকানোর ব্যর্থতা। সত্যিই এ কোন দক্ষিণ আফ্রিকা। ভাবতে অবাক লাগে চোকার্স থেকে আজ তাদের গায়ে হেরো তকমা সেঁটে যাওয়ার ব্যর্থতা। পাকিস্তান জিতল ৪৯ রানে। বিশ্বকাপে ভেসে থাকলেন সরফরাজরা। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে শেষ দুটি ম্যাচ এখন সত্যিই নিয়ম রক্ষার।