#মুম্বই: সুপ্রিম কোর্টের সোমবারের রায়ে বোর্ডে ফেরার বাসনায় যবনিকা শ্রীনিবাসন-পওয়ারদের। ক্রিকেট প্রশাসন থেকে সরতে হবে সত্তরোর্ধ্ব ফারুক আবদুল্লা, নিরঞ্জন শাহদের। আর চার্জশিটে নাম থাকায় টালমাটাল স্বয়ং প্রেসিডেন্ট অনুরাগের উইকেটও।
সুপ্রিম কোর্টের সোমবারের রায়ে বোর্ডের অলিন্দে একের পর এক ইন্দ্রপতনের হাইওয়ে খুলে গেল। বয়সের উর্ধ্বসীমার নিয়মে ক্রিকেট প্রশাসনের ক্রিজে এতদিন গেড়ে বসে থাকা মহীরূহদের উইকেট পতনের আশঙ্কা আরও তীব্র হল। তালিকায় রয়েছেন একের পর এক হেভিওয়েট।
৬ মাসের মধ্যে রায় কার্যকর হওয়ার অপেক্ষা। শুধু বোর্ড কেন, সাধের তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থা থেকেও এবার সরে দাঁড়াতে হবে ৭১ বছরের এন শ্রীনিবাসনকে। একই যুক্তিতে মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্টের উইকেট ছাড়তে হবে ৭৫ বছরের দুঁদে রাজনীতিবিদ শরদ পওয়ারকে। একই নিয়মে সরে যেতে হবে সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থার একচ্ছত্র অধিপতি ৭২ বছরের নিরঞ্জন শাহকে। সেভেন্টি প্লাস ক্লাবের অগ্রজ সদস্য ফারুক আবদুল্লাকেও সরতে হবে জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট প্রশাসনের অলিন্দ থেকে। রাজ্য সংস্থায় তাঁর দাঁড়ানো নিয়ে অবশ্য আগেই জটিলতা তৈরি হয়েছে। মামলা আদালতে বিচারাধীন।
বোর্ড আর রাজ্য সংস্থায় জোড়া পদে রয়েছেন খোদ প্রেসিডেন্ট অনুরাগ, সচিব অজয় শিরকে। কোষাধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ চৌধুরি এবং যুগ্মসচিব অমিতাভ চৌধুরি। স্বার্থের সংঘাতে যাঁদের ছাড়তে হবে যেকোনও একটি পদ। অনুরাগের সিংহাসন আবার টালমাটাল অন্য কারণে। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগে আগেই পেশ হয়েছে চার্জশিট। লোধা সুপারিশ অনুযায়ী, চার্জশিটে নাম থাকা কোনও ব্যক্তি ততদিন ক্রিকেট প্রশাসনে থাকতে পারবেন না যতদিন না নির্দোষ প্রমাণিত হচ্ছেন। সচিব অজয় শিরকের ক্ষেত্রে অন্তরায় ভিনদেশের নাগরিকত্ব। সবমিলিয়ে, সুপ্রিম রায়ের পর বোর্ডে আপাতত তীব্র কম্পন। আর একের পর এক হেভিওয়েট উইকেট পতনের আশঙ্কা।