#বেঙ্গালুরু: নিজে যখন বাবাকে হারিয়েছিলেন তখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অনেকদূরে ছিলেন বিরাট কোহলি। তবুও শেষকৃত্য করে মাঠে নেমে বড় রান পেয়েছিলেন। কেরিয়ারের শীর্ষে পৌঁছেও সেই দিনটা ভোলেননি। তাই নিজের কষ্টটা অন্যের মধ্য দিয়ে উপলব্ধি করতে পারেন। আপনজনকে হারানোর বেদনা অনেক কম বয়সেই সহ্য করতে হয়েছিল তাঁকে। তাই বিরাট কোহলির কাছে এটা কোনও নতুন ব্যাপার নয়।
নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারের জন্য বিরাট কোহলির কাছে ঋনী মহম্মদ সিরাজ। অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট দলে অভিষেক হলেও ২০১৭ সালেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অভিষেক হয় মহম্মদ সিরাজের। তবে সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি তিনি। ২০২০ সালের আইপিএল-এ ভাল বল করায় অস্ট্রেলিয়া সফরে ডাক পান হায়দরাবাদের এই জোরে বোলার। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর বাবার মৃত্যুর খবর শুনতে হ্য় তাঁকে। কান্নায় ভেঙে পড়া তরুণ বোলারের পাশে দাঁড়ান অধিনায়ক বিরাট।
বাবার মৃত্যুর পরও ভারতে না ফিরে দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে থাকেন। ৩ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে ভারতের সিরিজ জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি হয়ে ওঠেন সিরাজ। তিনি বলেন, ‘‘বাবা মারা যাওয়ার খবর পেয়ে আমি ভেঙে পড়েছিলাম। সেই সময় বিরাট আমায় সাহস যোগায়। আমি বিরাটের কাছে ঋণী।’’ সিরাজ বলেছেন একটা সময় পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারছিলেন না কী করবেন। মন চঞ্চল হয়ে উঠেছিল। মায়ের কথা চিন্তা করছিলেন।
তখনই বিরাট কোহলি কাঁধে হাত রেখে তাঁকে বোঝান। মন শক্ত করতে বলেন। বাস্তব মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে বলেন। কথা দেন জীবনে সব দরকারে তাঁকে কাছে পাবেন সিরাজ। সিরাজ যে অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে বাড়ি না ফেরার সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই তাঁকে জাতীয় নায়কের মর্যাদা দিয়েছিল। আজ বুঝতে পারছেন সেই সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক ছিল। দেশের জার্সি গায়ে যখন খেলছেন, তখন তিনি সারা দেশের সন্তান। এই দায়িত্ব জীবনের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত পালন করে যেতে চান হায়দরাবাদের পেসার। বিরাট কোহলির মত অধিনায়ক এবং মেন্টর যতক্ষণ সঙ্গে আছেন, সিরাজকে আটকে রাখে কার সাধ্য?
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Mohammed Siraj, Virat Kohli