#আমেদাবাদ: আর মাঝে দুটো দিন। তারপরেই আমেদাবাদে শুরু হয়ে যাবে ভারত বনাম ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্ট। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি হয়েছে আমেদাবাদে। মোতেরা স্টেডিয়াম তাক লাগিয়ে দিয়েছে ইংলিশ ক্রিকেটারদেরও। কয়েকজন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মেলবোর্নের এমসিজির থেকেও সুন্দর এই নবনির্মিত ক্রিকেট স্টেডিয়াম। কিন্তু বিরাট কোহলিদের স্টেডিয়াম নিয়ে যতটা না কৌতুহল, তার চেয়ে বেশি কৌতুহল বাইশ গজ নিয়ে।
মোতেরার পিচ দূর থেকে দেখলে সবুজ ঘাসে ঢাকা। এমন অবস্থা খেলার দিন পর্যন্ত থাকবে কিনা গ্যারান্টি নেই। বলে অতিরিক্ত পালিশ এবং ল্যাকার থাকায় গোলাপি বলে পিচে কিছুটা ঘাসের দরকার আছে ঠিকই। কিন্তু অতিরিক্ত ঘাস সর্বনাশ করতে পারে ভারতীয় দলের। জেমস অ্যান্ডারসন এবং স্টুয়ার্ট ব্রডদের এই ধরণের উইকেটে খেলা বুমেরাং হয়ে যাবে ভারতের। কিন্তু সূত্রের খবর ইংল্যান্ড দলের জন্য টার্নিং পিচ অপেক্ষা করবে।
তবে এস জির গোলাপি বলে প্রথমদিকে সুইং হবে। দিনের আলো ফুরিয়ে ফ্লাড লাইট জ্বলে ওঠার প্রথম চল্লিশ মিনিট ব্যাটসম্যানদের সাবধান থাকতে হবে। কারণ এই সময় গোলাপি বল একটু বেশি সুইং করে। রিভার্স সুইংও দেখা যায় এই সময়। আমেদাবাদে পৌঁছে নেট সেশন শুরু করে দিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। কোহলি, রোহিত, রাহানে, পূজারা, শুভমান গিলরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন গোলাপি বলে ব্রড, অ্যান্ডারসনদের বিষাক্ত সুইং সামলানোর। নেটের পেছনে দাঁড়িয়ে কোচ রবি শাস্ত্রী ভুলভ্রান্তি ধরিয়ে দিচ্ছিলেন।
আসলে যতই ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা থাক, লাল বলের থেকে গোলাপি বলে খেলা বেশি কঠিন। বল কতটা সুইং করছে নেটে সেই আন্দাজ পাওয়ার চেষ্টা করলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। দীর্ঘক্ষন নকিং করেন কোহলি, রোহিত, পন্থরা। লাল বলের তুলনায় এই বলের সেলাই আলাদা। যে বোলাররা গতিতে বল করতে পারেন, তাঁদের বেশি সুবিধা মিলবে এই বলে। সেটা মাথায় রেখেই ইশান্ত, বুমরাহর পাশাপাশি উমেশ যাদবকে খেলানোর চেষ্টায় ভারত। উমেশ না পারলে তখন সিরাজ খেলবেন।
আবার হাতে সেলাই করা বলে, বল গ্রিপ করার সময় সুবিধা হবে স্পিনারদের। অশ্বিন এবং অক্ষর সেটা কতটা কাজে লাগাতে পারেন সেটাই দেখার। কিন্তু দিনের শেষে একটা কথা সত্যি। পিচ, বল, পরিবেশ যাই থাক, ম্যাচ জিততে গেলে বাইশ গজে নিজেদের সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। ক্রিকেটারদের স্কিল খেলার ফল নির্ণয় করে। সেটা যে দল পারবে অ্যাডভান্টেজ তাঁদের।