অস্ট্রেলিয়া: ২৮৬/৯ ভারত: ২৮৯/৩ (৪৭.৩ ওভার) ১৫ বল বাকী থাকতেই ৭ উইকেটে জয় ভারতের
#বেঙ্গালুরু:ম্যাচ ও সিরিজ জিততে টার্গেট ছিল ২৮৭ রান ৷ রোহিত-বিরাটরা যতক্ষণ ক্রিজে রয়েছেন, তখন কোনও টার্গেটই যেন কঠিন মনে হয় না ৷ এদিনও দর্শকদের হতাশ করেননি রোহিত শর্মা এবং অধিনায়ক বিরাট কোহলি ৷ ১২৮ বলে ১১৯ রান করে অর্ধেক কাজটা রোহিতই করে গিয়েছিলেন ৷ জয়ের জন্য বাকী কাজটা সারলেন বিরাট ৷ ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে তিনি করলেন ৯১ বলে ৮৯ রান ৷ ১৫ বল বাকী থাকতেই অনায়াসে ম্যাচ জিতল ভারত ৷ পেটিএম ট্রফি দেশেই রাখলেন বিরাট কোহলিরা।
INDIA WIN
A clinical performance by #TeamIndia as they win by 7 wickets and clinch the series 2-1.#INDvAUS pic.twitter.com/LnhgbjdDI8 — BCCI (@BCCI) January 19, 2020
নিউজল্যান্ড সফরের আগে স্বস্তি। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ জয় ভারতের। চিন্নাস্বামীতে রো-হিটের সঙ্গে রবিবারের প্রাপ্তি কোহলিয়ানা। সাত উইকেটে ম্যাচ জিতে ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন ফিনিশার শ্রেয়স আইয়ার।
ভারতের উইনিং মোমেন্টটা দেখা হল না বোর্ড প্রেসিডেন্টে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ভারতের জয়ের খানিক আগেই মাঠ ছাড়লেন মহারাজ। বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুটি স্বস্তি বিরাট শিবিরে। এক, খোলা মনে নিউজল্যান্ড সফর। দুই, একবছর আগে ঘরের মাঠে এই অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিরিজ হারের মধুর বদলা। টস জিতে এদিন ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক ফিঞ্চ। স্মিথের শতরানের দিনেই চার উইকেট মহম্মদ শামির। পঞ্চাশ ওভারে ২৮৬ রান করে অস্ট্রেলিয়া। এরমধ্যে ১৩১ রান স্টিভ স্মিথের। ৬৩ রানে চার উইকেট নেন মহম্মদ শামি।
সন্ধে নামার আগেই চিন্নাস্বামীতে শুরু রো-হিট শো। গত দুটি ম্যাচে বল ব্যাটে লাগছিল। কিন্তু রান আসছিল না। আইপিএলে এই মাঠকে বলা হয় আরসিবি-র ডেরা। সেই মাঠেই একদিনের ক্রিকেটে ২৯তম শতরান ভারতের সহ-অধিনায়কের। ১২৮ বলে ১১৯ রান রোহিতের। এরমধ্যেই একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক বিরাটের দ্রুততম পাঁচ হাজার। ৮২ ইনিংসে নতুন মাইলস্টোন রেকর্ডপ্লেয়ার কোহলির। ৯১ বলে ৮৯ করে তিনি যখন ফিরছেন, তার আগে নতুন এক ফিনিশারকে দেখতে পেল ভারতীয় ক্রিকেট। ৩৫ বলে ৪৪ শ্রেয়স আইয়ার। ১৫ বল হাতে রেখেই সিরিজ পকেটে ভারতের। স্বস্তি। এই শব্দটাই এখন উপভোগ করতে চান বিরাট। কারণ, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে কিউইদের মাঠে তাঁর সামনে এখন নতুন চ্যালেঞ্জ।