#নয়াদিল্লি:
ব্যাটসম্যান সচিন তেন্ডুলকরের ছায়া বিশাল। তবে ক্যাপ্টেন সচিনের প্রসঙ্গ উঠতেই পিছিয়ে আসতে হয়। কেরিয়ারে খুব কম সময় তিনি ক্যাপ্টেন্সি করেছেন। আর সেই খুব ছোট পর্বে তাঁকে সফল বলা যায় না। বরং একটা সময় ক্যাপ্টেন্সি ছেড়ে ব্যাটিংয়ে মন দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন সচিন। ১৯৯৬ সালে আচমকাই তাঁকে ভারতীয় দলের অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়। তার পর টিম ইন্ডিয়া তাঁর ক্যাপ্টেন্সিতে ৭৩টি একদিনের ম্যাচ খেলেছিল। জিতেছিল মাত্র ২৩টি। টেস্টেও ক্যাপ্টেন সচিনের রেকর্ড খুব খারাপ। ২৫টি টেস্টে সচিনের অধিনায়কত্বে খেলেছিল ভারতীয় দল। জিতেছিল মাত্র চারটি।ক্রিকেট থেকে সন্ন্যাস নিয়েছেন তিনি। আর অবসরের পর সচিন কিন্তু ক্যাপ্টেন হিসাবে সফল। তাঁর তত্ত্বাবধানে এবার ভারতীয় দল খেতাব জিতল। তাও আবার টি-২০ খেতাব। ক্রিকেটের ছোট ফরম্যাট বেশিদিন খেলার সুযোগ পাননি সচিন-শেহবাগরা। এখন ছোট ক্রিকেটের রমরমা। তবে সচিনরা কিন্তু জীবনের বেশিরভাগ সময়টা ৫০ ওভারের ক্রিকেট ও টেস্ট খেলেই খ্যাতি অর্জন করেছেন। তাই বলে ছোট ফরম্যাটে মানিয়ে নিতে যে কিংবদন্তিদের কোনও সমস্যা হয় না, তা শেহবাগ কিছুদিন আগেই ব্যাটে ঝড় তুলে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আর এবার রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ টি-২০ খেতাব জিতে সচিন বুঝিয়ে দিলেন, চ্যাম্পিয়নরা যেখানেই যান না কেন, চ্যাম্পিয়ন হয়েই ফেরেন। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে খেতাব জিতল ইন্ডিয়া লেজেন্ডস দল।
গোটা টুর্নামেন্টে দুরন্ত পারফর্ম করেছে ইন্ডিয়া লেজেন্ডস। ফাইনালেও সেই ধারা অব্যহত থাকল। ফাইনাল ম্যাচে যুবরাজ ও ইউসুফ পাঠানের হাফসেঞ্চুরির দৌলতে ইন্ডিয়া লেজেন্ডস করল চার উইকেটে ১৮১। সচিন এদিন করলেন ২৩ বলে ৩০। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪৩ রান করলেন সনথ জয়সূর্য। তিনি ও তিলকরত্নে দলশান ওপেনিংয়ে ৬২ রানের পার্টনারশিপ করলেন। তবে লাভ হল না। এই জুটি ভাঙার পরই শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইন ধসে যায়। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা লেজেন্ডস ১৪ রানে ম্যাচ হারে। প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ অবশ্য হয়েছেন শ্রীলঙ্কার দিলশান। আট ম্যাচে ২৭১ রান করেছেন তিনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।