#বার্মিংহ্যাম: এই মুহূর্ত খুব কমই আসে হয়তো ৷ কম আসে ভারতীয়দের কাছে, বিশেষ করে এই মুহূর্ত বাঙালির কাছে অত্যন্ত গর্বের ৷ একদিকে বিশ্বের দরবারে দেশ, অন্যদিকে গোটা বিশ্বের কানে পৌঁছল দু’টি রবীন্দ্রসঙ্গীত ৷ ‘জনগণমন’ এবং ‘আমার সোনার বাংলা’ ৷
মঙ্গলবার বিশ্বকাপে মুখোমুখি খেলতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশ ৷ খেলার আগে বার্মিংহ্যামের স্টেডিয়াম জুড়ে বেজে উঠল ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ৷ বেজে উঠল ‘জনগণমন’, অন্যদিকে বেজে উঠল বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ ৷ এই দুটি গানই লিখেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৷ সেই বিশ্ব কবির গানেই বিশ্বকাপে আজ এক বিরল মুহূর্ত ৷ বাঙালির কাছে এ যেন এক আলাদা অনূভূতি, খেলাপ্রেমি বাঙালির কাছে এ যেন এক পরম পাওয়া ৷
১৯১১ সালে জাতীয় কংগ্রেসের একটি সভায় এটি প্রথম গীত হয় জনগণমন। তারপর ১৯৫০ সালে স্বাধীন ভারতের জাতীয় সঙ্গীত রূপে স্বীকৃতি লাভ করে এর প্রথম স্তবকটি।
১৯০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেছিলেন ‘আমার সোনার বাংলা’ ৷ ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এই গানটি রচিত হয়েছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এই গানকে দেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয় ৷