ভারত - ৩২৯
#পুনে: প্রথম একদিনের ম্যাচে ৩১৭ রান করে জয় পেলেও, দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে ৩৩৬ করেও হারতে হয়েছিল ভারতকে। বেয়ারস্টো এবং বেন স্টোকস যে ধ্বংসলীলা চালিয়েছিলেন তাতে রবিবার কার্যত ফাইনাল ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করলে কম করে ৪০০ রানের টার্গেট মাথায় নিয়ে নেমেছিল ভারত। এদিনও বিরাট কোহলির টস ভাগ্য সহায় হল না। তবে ওপেনিং পার্টনারশিপ ধাওয়ান এবং রোহিত দুর্দান্ত শুরু করলেন। ১০৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩৭ রান করে রশিদের বলে বোল্ড হলেন রোহিত শর্মা।
শিখর আগের ম্যাচে মাত্র দু রানের জন্য শতরান হাতছাড়া করেছিলেন। এদিন ফিরলেন ৬৭ করে। রশিদের গুগলি বুঝতে না পেরে কট অ্যান্ড বোল্ড হলেন। বিরাট কোহলি আগের দুটি ম্যাচে রান পেলেও এদিন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ৭ রান করে মইন আলির বলে ব্যাকফুটে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হলেন। বলটা অনেকটা ঘুরে ভেতরে ঢুকে এসেছিল। লাইন মিস করেন বিরাট। গত ম্যাচের শতরান করা রাহুল ৭ করে লিভিংস্টোনের বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন।
কিন্তু পন্থ এবং হার্দিক পান্ডিয়া নিজেদের স্বাভাবিক খেলা বজায় রাখলেন। ভয়ে গুটিয়ে গেলেন না। ৯৯ রানের পার্টনারশিপ হল দুজনের। পন্থ মইন, রশিদের মত স্পিনারদের বিরুদ্ধে আক্রমনাত্মক শট খেললেন। যেভাবে খেলছিলেন মনে হচ্ছিল শতরান নিশ্চিত। ৭৮ করে ফিরলেন শেষপর্যন্ত। পাঁচটি বাউন্ডারি এবং চারটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকালেন। ৬৪ করে বেন স্টোকসের বলে বোল্ড হলেন হার্দিক। তিনিও হাঁকালেন ৪ টি ছক্কা।
শার্দুল ঠাকুর এবং ক্রুনাল পান্ডিয়া ভারতের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকলেন। ঠাকুর ৩০ করে ফিরে গেলেন উডের বলে। মারলেন তিনটি ওভার বাউন্ডারি। ক্রুনাল পান্ডিয়া ভুবনেশ্বর কুমারকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালালেন। কিন্তু শেষ দশ ওভারে মার্ক উড এবং টপলে বুদ্ধি করে বল করলেন। বিশেষ করে মার্ক উড। এদিন তাঁকে দলে ফিরিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড প্রমাণিত। লুজ বল দিলেন না।
ক্রুনাল ব্যাটে বলে করতে পারছিলেন না। ৩৩ বলে ২৫ করে উডের বলে ফিরে গেলেন ক্রুনাল। দুর্দান্ত ক্যাচ নিলেন রয়। পিছন দিকে দৌড়ে অনবদ্য ক্যাচ। যে ৪০০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নেমেছিল ভারত, হঠাৎ করেই ৩৫০ উঠবে কিনা প্রশ্ন দেখা দিল। ভারতের ইনিংস থেমে গেল ৩২৯ রানে। শেষ চারটি উইকেট মাত্র ৮ রানে পড়ল।