Paradip Ghosh
#কলকাতা: বছরের শুরু থেকে শেষ। প্রশ্নটা এক। উত্তর অজানা। মোহনবাগান জনতার প্রশ্ন, ‘‘ আমাদের স্পনসরের কোনও খবর?’’। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের ট্রোল,‘‘পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণও তো হয়ে গেল।’’ খোদ মোহনবাগান এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্যদের প্রশ্ন করলে ঠোঁট ওল্টানো ছাড়া অন্য অভিব্যক্তি পাবেন না। তাহলে বিষয়টা কী? বাগানে কী আদৌ স্পনসর আসছে?
উত্তর দিচ্ছি আমরা। হ্যাঁ, আসছে। মোহনবাগানের স্পনসর থুড়ি বিনিয়োগকারী চূড়ান্ত। ক্লাবকর্তাদের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের আলোচনা একেবারে শেষ ল্যাপে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন, তাহলে সৃঞ্জয় বোস-দেবাশিস দত্তরা অহেতুক সময় নিচ্ছেন কেন? তারও উত্তর রয়েছে আমাদের কাছে। মোহনবাগানের বিনিয়োগকারী হতে চলেছে মধ্য প্রাচ্যের এক তেল কোম্পানি। বিনিয়োগকারী সংস্থার মাথায় রয়েছেন একজন প্রবাসী ভারতীয়। আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে বলতে হয়, এই মুহূর্তে দেশের ফুটবলে আগ্রহী ও তেল ও গ্যাস প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে কোন রকম সংস্রব নেই বাগানের নতুন বিনিয়োগকারীদের। কথায় বলে, ~সমঝদারো কে লিয়ে ইশারা হি কাফি হ্যায়।’ ব্যাস আজ এই পর্যন্তই। বাকিটা তোলা থাক।
এবার প্রশ্ন, শ্যুটিং-ডাবিং-এডিটিং পর্ব সম্পূর্ণ হয়ে থাকলে ফিল্ম রিলিজে বাধা কোথায়? বাধাটা অন্যত্র। শেয়ারহোল্ডিং নিয়ে দুই পক্ষই এক সমাধানসূত্রে। বোর্ড অফ ডিরেক্টরসে ক্লাবের শর্ত মেনে নিলেও সামান্য জট রয়েছে সিগনেটারি কারা হবেন, এরকম কিছু ছোট ক্লজে। দেবাশিস দত্তরা সমাধানসূত্র খুঁজছেন। জানুয়ারি মাসের মধ্যেই জট খুলে যাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী দুই পক্ষ। একইসঙ্গে ক্লাবকর্তারা কথা চালাচ্ছেন এই মুহূর্তে ভারতীয় ফুটবলের বৃহত্তম স্পনসরের সঙ্গেও। বাগানে ইচ্ছুক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সংস্রব না থাকায় মোহনবাগান কর্তাদের কাছে বিকল্প বিনিয়োগকারী এনে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। শেষ সময়ে সৃঞ্জয়-দেবাশিসরা বাজিয়ে দেখছেন সেই বিকল্প বিনিয়োগকারীকেও। তবে সেই সম্ভাবনা কম। মধ্য প্রাচ্যের তেল কোম্পানিকে খুঁজে আনার বিষয়ে মূল উদ্যোগটা ছিল অর্থসচিব দেবাশিস দত্তর। তাই প্রবাসী ভারতীয়র নিয়ন্ত্রণাধীন মধ্য প্রাচ্যের তেল কোম্পানিই বাগানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার ক্ষেত্রে দৌড়ে এগিয়ে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Mohun Bagan