#গোয়া: আড়াই মাস আগে আইএসএল এর প্রথম ডার্বিতে এস সি ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। মাঝের সময়টা আরব সাগর দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। দুটো দলই বেশ কিছু পরিবর্তন করেছে। ইস্টবেঙ্গল আগের থেকে শক্তিশালী হয়েছে। তবে ডার্বিতে চিত্র বদলাল না। আড়াই মাস আগে যা হয়েছিল, এদিনও মান্ডবী নদীর ধারে সেই একই চিত্র। দু গোলের ব্যবধানে হেরে গেল এস সি ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের প্রথম পনেরো মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন রয় কৃষ্ণ। ডিফেন্স থেকে তোলা তিরির একটা বল ফক্স এবং নারায়ন দাসকে গতিতে পরাস্ত করে গোলরক্ষক সুব্রতকে কাটিয়ে নিয়ে জালে পাঠালেন কৃষ্ণ। ফের বুঝিয়ে দিলেন কেন তিনি চলতি টুর্নামেন্টের সেরা স্ট্রাইকার। এই নিয়ে এবারের টুর্ণামেন্টে চোদ্দো গোল করে ফেললেন কৃষ্ণ।
তবে মনবীর সহজ সুযোগ না হারালে প্রথমার্ধেই ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারত সবুজ মেরুন। বিরতির কয়েক মিনিট আগে সমতা ফেরাল লাল হলুদ। রাজু গায়কোয়াড় একটা দুর্দান্ত থ্রও করলেন মোহনবাগান বক্সে। ক্লিয়ার করতে গিয়ে তিরির মাথার মাঝখানে লেগে বল জড়িয়ে গেল জালে। চেষ্টা করেও আটকাতে পারেনি অরিন্দম। এই সময়টা চাপ বাড়িয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। পরপর বেশ কয়েকটা ফ্রিকিক এবং কর্ণার আদায় করে নেয় তাঁরা।
দ্বিতীয়ার্ধে ষাট মিনিটের একটু পরে পায়ে টান ধরায় উঠে যেতে হয় মার্সেলিনোকে। নামানো হয় জাভি হার্নান্দেজকে। বাহাত্তর মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় হাবাসের দল। সেই কৃষ্ণ ফক্সের ভুলে বল কেড়ে নিয়ে বাড়িয়ে দেন ডেভিড উইলিয়ামসকে। অজি স্ট্রাইকার চলন্ত বলে দ্বিতীয় পোস্টে ফিনিশ করেন। অনেক সমালোচনা হলেও হাবাস কিন্তু ভরসা রেখেছিলেন উইলিয়ামসের ওপর। সেই ভরসার মর্যাদা দিলেন তিনি।
এরপর মনবীরকে তুলে প্রবীর এবং উইলিয়ামসকে তুলে প্রণয়কে নামানো হয়। নব্বই মিনিটের মাথায় লাল হলুদের লজ্জা বাড়ান জাভি হার্নান্দেজ। রয় কৃষ্ণর সেন্টার থেকে হেডে গোল করেন স্প্যানিশ ফুটবলারটি। সুব্রত পাল শরীর ছুঁড়ে দিয়েও আটকাতে পারেননি। এই জয়ের ফলে আপাতত আঠারো ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রইল সবুজ মেরুন।
শনিবার মুম্বই জিতলেও এগিয়ে থাকবে হাবাসের দল। তাছাড়া আরও একটা রেকর্ড হল এদিন। পরপর পাঁচ ম্যাচে জয় পেল এটিকে মোহনবাগান। ব্রিটিশ কোচ রবি ফাওলারকে আবার বুদ্ধির জোরে হারিয়ে দিলেন স্প্যানিশ ম্যানেজার হাবাস। তবুও ম্যাচ শেষে জানিয়ে দিলেন কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। আসল লক্ষ্য মুম্বইকে হারানো।