#ব্রাসিলিয়া : হতে পারতেন পেলে। সেই সম্ভাবনা প্রবল ছিল। ব্রাজিল ফুটবলে সর্বোচ্চ আসন দখল করার মত ঈশ্বর প্রদত্ত প্রতিভা ছিল তাঁর। কিন্তু প্রতিভা থাকলেই নাম করা যায় না, বা সর্বোচ্চ আসনে বসা যায় না, রবিনহোর থেকে বড় প্রমাণ আর কী হতে পারে? শৃঙ্খলার অভাব, মদ, নারী, জুয়া, খারাপ হওয়ার সব গুনই ছিল তার মধ্যে। নেইমারের আগে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় প্রতিভা ধরা হত তাঁকে।
আজ থেকে প্রায় সাত বছর আগের ঘটনা। ইতালির বিখ্যাত ক্লাব এসি মিলানের হয়ে খেলার সময় তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। আলবেনিয়া বংশোদ্ভূত এক মহিলাকে নাকি কিছু বন্ধুর সঙ্গে মিলে গণধর্ষণ করেছেন রবিনহো। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর তিন বছর আগে ইতালির আদালত নয় বছরের কারাদণ্ড শোনায়। জেল খাটার ভয়ে ব্রাজিলে ফিরে আসেন তিনি। ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোস তাঁকে দলে নেয়। একই সঙ্গে তারা জানায় যদি আদালতের নতুন রায় রবিনহোর পক্ষে যায় তাহলে তাঁর খেলতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু যদি না যায় তাহলে অন্যরকম ভাবতে হবে তাঁদের।
সম্প্রতি ইতালির আদালত কারাদণ্ড বজায় রেখেছে। ব্রাজিলেও উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। ধর্ষক ফুটবলারকে দলে জায়গা দিয়েছে সান্তোস। ঘরে-বাইরে চাপে পড়ে শেষপর্যন্ত নিজেদের সম্মান বাঁচাতে ছত্রিশ বছর বয়সী ফুটবলারের চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হয় ক্লাবটি। যে ক্লাবে খেলে বড় হয়েছেন পেলের মত কিংবদন্তি সেই ক্লাবে একজন ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ফুটবলার খেললে ক্লাবের সুনাম নষ্ট হবে। তবে এই প্রথম নয়। ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলার সময় প্রায় এগারো বছর আগে প্রথমবার নাইট ক্লাবে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল রবিনহোর বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য আদালত তাঁকে মুক্তি দিয়েছিল। ফুটবলারদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ শুধু রবিনহো নয়, জর্জ বেস্ট থেকে এই যুগের সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর বিরুদ্ধেও উঠেছে। তবে সব মহিলাই যে সত্যিই বলছেন একথা প্রমাণিত হয়নি।