কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন লিউকো লিওপোল্ডো। রবিবার তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে লিউকোর বাড়িতে তল্লাশি চালায় আর্জেন্টিনার পুলিশ। জেরা করা হয় পেশায় চিকিৎসক লিউকোকে। লিউকোর ব্যবহার করা ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয় পুলিশ।
কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো মারাদোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিলেন লিউকো লিওপোল্ডো। ফুটবল ঈশ্বরের মৃত্যুর পেছনে চিকিৎসায় কোনো গাফিলতি বা অন্য কোন রহস্য রয়েছে কী না, তার খোঁজ করতে নেমেই মারাদোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিউকো লিওপোল্ডোকে রবিবার জেরা করে আর্জেন্টিনার পুলিশ। লিউকোর বাড়ি থেকে মারাদোনার চিকিৎসার যাবতীয় পুরনো নথি পত্র নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে মারাদোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পদে যুক্ত রয়েছেন লিঊকো লিউপোল্ডো। কিংবদন্তির মৃত্যুর পরেই দিয়েগোর চিকিৎসা ব্যবস্থায় গাফিলতি নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন মারাদোনার মেয়ে জিয়ান্নিনা। মারাদোনার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আইনজীবী মাতিয়াস মোরলা প্রশ্ন তুলেছিলেন," অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছতে ৩০ মিনিটের বেশি সময় লেগে গেল কী করে! এটা তো চরম গাফিলতি। মারাত্মক অপরাধ।"
মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে থাকায় ৩ নভেম্বর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয় মারাদোনার। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বুয়েন্স আয়ার্সের একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে ক্রমশ সুস্থ হচ্ছিলেন ফুটবল ঈশ্বর। ২৫ নভেম্বর সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কিংবদন্তি ফুটবলার।
রবিবার বাড়িতে তল্লাশির পর কান্নায় ভেঙে পড়েন দিয়েগোর ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিউকো লিওপোল্ডো। সাংবাদিকদের সামনে লিউকো জানান,"আমার সঙ্গে দিয়েগোর সম্পর্কটা ছিল পিতা-পুত্রের মতো। আমি জানি, আমি দিয়োগোর জন্য কী করেছি। আমার পক্ষে যতটা করার ছিল, আমি তার সবটাই করেছি। দিয়েগোর পরিণতির জন্য আমি দায়ী নই।" কথা বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন লিউকো। কিন্তু কিংবদন্তির মৃত্যুতে যে এতো সহজে ছাড় মিলবে না সেটা আর্জেন্টাইন চিকিৎসক নিজেও জানেন। জীবদ্দশায় তো বটেই, মৃত্যুর পরেও দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনাকে নিয়ে আর্জেন্টিনায় তথা ফুটবল দুনিয়ায় আবেগ, ভালোবাসা একই রকম রয়ে গিয়েছে।
PARADIP GHOSH