#তেহরান: দুই বাঙালি ও এক ইতিহাসের রাত। ইতিহাস দেবীপক্ষে আজাদির। পর্দার আড়াল সরিয়ে ৩৮ বছর পর ফের ইরানের মাঠে মহিলা সমর্থকরা। স্টেডিয়ামের নাম আজাদি। কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ইরানের ১৪ গোলের ম্যাচ খেলালেন চার ভারতীয়। তাঁদের মধ্যে দু’জনই আবার বাংলার।
মেয়েটার নাম সহর খোদায়ারি। অপরাধ, এই বছরের মার্চ মাসে সরকারি ফরমানকে তোয়াক্কা না করে ২৯ বছরের ইংরেজির স্নাতক মাঠে গিয়েছিলেন প্রিয় দলের খেলা দেখতে। আজাদি স্টেডিয়ামেই এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেই ম্যাচে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন সহর। ছ’মাসের জেল হয়। কারাদন্ড এড়াতে আত্মঘাতী হন সহর। প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গণ আন্দোলনে চাপ বাড়ে ইরান সরকারের উপর। শেষ পর্যন্ত ফিফার নির্দেশে মহিলাদের মাঠে খেলা দেখার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য হয় ইরানের ফুটবল সংস্থা। এরপর দশ অক্টোবর.... এটাই তেহরানের রাস্তা।
প্রাক বিশ্বকাপের ম্যাচে কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ১৪ গোলের রাত। মাঠে ইরানের ছেলেরা। আর স্টেডিয়ামে ইরানের মেয়েরা। চল্লিশ হাজারের স্টেডিয়ামে তাঁদের সংখ্যাই প্রায় ৩৫ হাজার। এই ম্যাচ থেকে ভারতের প্রাপ্তি দুই বঙ্গ সন্তান। রেফারি আগরপাড়ার প্রাঞ্জল বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গী অসিত সরকার। ছিলেন আরও দুই ভারতীয়। যাঁদের মধ্যে পরিচিত মুখ সিআর শ্রীকৃষ্ণ।
আটতিরিশ বছরের ফতোয়া। দেবীপক্ষেই এল আজাদি। সেই আজাদি স্টেডিয়ামে, যেখানে সাত মাস আগে এক মেয়ে জীবন দিয়েছিলেন দেশের ফুটবল পাগল মহিলাদের জন্য। এ-ও তো এক আজাদি।