#রিও ডি জেনেইরো: ফের ব্রাজিলে বিমান দুর্ঘটনা। ফের রক্তাক্ত ফুটবল। এবার চতুর্থ ডিভিশনের ক্লাব পালমাস। ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতীয় সময় রবিবার বেলার দিকে। করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় মূল দলের সঙ্গে না গিয়ে, চারজন ফুটবলার এবং ক্লাব সভাপতি একটি চার্টার বিমানে আলাদা যাচ্ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন টেক অফ করার সময় বিমানটি মাটিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নেমে যায়,তারপরই নিমেষের মধ্যে আগুন লেগে যায় বিমানে। খেলোয়াড়রা ভিলা নোবার বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে দেশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে গোয়ানিয়ায় যাচ্ছিলেন। নিহতরা হলেন প্রেসিডেন্ট লুকাস মীরা এবং খেলোয়াড় লুকাশ প্রক্সিডেস, গিলহার্ম নো, রানুলে এবং মার্কাস মলিনারি। বেঁচে নেই পাইলট ও।
FIFA offers its condolences after a plane crash tragically claimed six lives in Brazil - including five members of Palmas Futebol e Regatas. Football extends its deepest sympathies to the victims and their families at this difficult time.
— FIFA.com (@FIFAcom) January 24, 2021
উদ্ধারকারী দল এবং দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন যে ডবল ইঞ্জিনের ব্যারন মডেলের বিমানটির ছয় জনকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা ছিল। রানওয়ে থেকে ৫০০ মিটার দূরে দমকল কর্মীরা যখন দুর্ঘটনার জায়গায় পৌঁছন তখন উড়োজাহাজটি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী কমপক্ষে দুটি বিস্ফোরণ নিবন্ধিত হয়েছে। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন আনুষ্ঠানিকভাবে পালমাসের পরিবারের সদস্য এবং ক্লাবের অনুরাগীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে এবং শোকের চিহ্ন হিসাবে রবিবার খেলা সব ম্যাচে এক মিনিটের নীরবতার আদেশ দিয়েছে।শাপেকোয়েনসের বিমান দুর্ঘটনা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি ফুটবল সমর্থকরা। বিশ্ব ফুটবলকে নাড়িয়ে দিয়েছিল ওই বিমান দুর্ঘটনা।
ফুটবলের দেশ ব্রাজিলে ওই ঘটনার আগে এত বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটেনি।২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর ঘটেছিল সেই দুর্ঘটনা। দক্ষিণ আমেরিকার মহাদেশীয় ক্লাব ফুটবলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টুর্নামেন্ট কোপা সুদামেরিকানার (ইউরোপে যেটি ইউরোপা লিগ) ফাইনালে কলম্বিয়ার আতলেতিকো নাসিওনালের বিপক্ষে খেলার কথা ছিল শাপেকোয়েনসের। সে জন্য খেলোয়াড়-কোচ-কর্মকর্তা ও সাংবাদিক মিলিয়ে মোট ৭৭ জন চেপেছিলেন বিমানে। কিন্তু মেদেলিনে বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজটি। ৭৭ জনের মধ্যে ৭১ জনই তখন প্রাণ হারান!