কলকাতা: মৃত্যুর আগেও না কি নিজের পরিবার পরিজনের কাছে তিনি একরকম উপেক্ষিত, অবহেলিতই ছিলেন। মৃত্যুর পরে তাঁর রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিয়েও এবার বিস্তর জল ঘোলা হওয়ার সম্ভাবনা। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মৃত্যুর আগে কোন উইল করে যাননি কিংবদন্তি। ফলে দিয়েগোর সম্পত্তির ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে এবার তার সন্তানদের মধ্যে বিবাদ, কলহ অবশ্যম্ভাবী।
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ মৃত্যুকালে কম-বেশি প্রায় ৭০০ কোটি টাকার সম্পত্তির অধিকারী ছিলেন দিয়েগো। উইল না থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে সম্পত্তি কী ভাবে ভাগ হবে, আর কে তার কতটা অংশ পাবেন! আর্জেন্টাইন সংবাদ সংস্থার খবর মেয়ে জিয়ান্নিনার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কারণে একটা সময়ে নিজের সব সম্পত্তি, গাড়ি, বাড়ি দান করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। যদিও আর্জেন্টিনার আইনে কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তির এক-পঞ্চমাংশের থেকে বেশি অংশ দান করতে পারেন না। কিংবদন্তির ৬০ তম জন্মদিনে সোশ্যাল সাইটে বাবাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মেয়ে জিয়ান্নিনা লিখেছিলেন,"আমার জীবনে বড় অনুপ্রেরণা তিনি। আমাকে ক্ষমা করতে শিখিয়ে ছিলেন তিনি।" নিজের প্রথম স্ত্রী ক্লদিয়ার সন্তান হিসেবে দুই কন্যা জিয়ান্নিনা ও ডালমার কথা উল্লেখ করেছেন কিংবদন্তি।
পরবর্তী কালে দিয়েগো জুনিয়রকে নিজের সন্তান বলে স্বীকার করে নিতে বাধ্য হন মারাদোনা। নাপোলিতে খেলার সময় থেকেই দিয়েগো জুনিয়রের মা ক্রিশ্চিয়ানা সিনোগ্রার সঙ্গে মারাদোনার প্রেম-ভালোবাসা। ২০০৮ সালে মারাদোনা জানা নামে তার আরেক সন্তানের কথা স্বীকার করেন। ১৯৯৬ সালে ভ্যালেরিয়া সাবালাইনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা কারণে জন্ম জানার। ২০১৩ তে জন্ম নেন দিয়েগো মারাদোনার আরেক সন্তান দিয়েগো ওজেদা। কিউবাতেও দিয়েগোর তিন সন্তান রয়েছে বলেই আর্জেন্টাইন সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।
-PARADIP GHOSH