#গোয়া: গত ম্যাচে গোয়ার বিরুদ্ধে যেখানে শেষ করেছিল সোমবার বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে সেখান থেকেই যেন শুরু করল এটিকে মোহনবাগান। এদিন জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে সুনীল ছেত্রীদের বিরুদ্ধে ৪-১-৪-১ ছকে দল নামিয়েছিলেন হাবাস। এই ম্যাচটার আগে স্প্যানিশ কোচ জানিয়েছিলেন সুন্দর ফুটবলের আশা করবেন না। খারাপ ফুটবল খেলেও পুরো পয়েন্ট পাওয়া গেলে তার গুরুত্ব বেশি। এটাই তাঁর বরাবরের দর্শন। সবুজ মেরুন শিবির এদিন প্রথম থেকেই প্রেসিং ফুটবল খেলতে থাকল। বেঙ্গালুরুর মিডফিল্ড খেলা ধরতে পারল না।
প্রণয়, কার্ল, এডু গার্সিয়া ওপেন স্পেস দিচ্ছিলেন না বিপক্ষ ফুটবলারদের। ডেভিড উইলিয়ামস গোয়ার বিরুদ্ধে কিছুটা ছন্দ ফিরে পেয়েছিলেন। আর এদিন গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেন ৩২ মিনিটে। একটা কিছু বল বাড়িয়েছিলেন কার্ল। সেটা কন্ট্রোল করে দুজন ডিফেন্ডারকে টপকে ডান পায়ের জোরালো শট নিলেন অস্ট্রেলিয়ান। দেশের সেরা গোলরক্ষক গুরপ্রীত আটকাতে পারলেন না বলটা। ম্যাচের আগেই ডেভিড জানিয়েছিলেন এই ম্যাচে গোল করতে চান তিনি। কথা রাখলেন।
উইলিয়ামস গোল পেয়ে যাওয়ায় সবুজ-মেরুন শিবিরের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে গেল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কয়েক মিনিট দেখে নিয়ে বেঙ্গালুরু কোচ একসঙ্গে তিনটে পরিবর্তন করলেন। হাবাস শেষদিকে জয়েস এবং প্রবীরকে নামালেন। দ্বিতীয়ার্ধে বলের দখল বেঙ্গালুরুর বেশি রাখলেও ফাইনাল থার্ড অঞ্চলে বেশি জায়গা দিচ্ছিলেন না সন্দেশ, তিরি, প্রীতমরা। তবে গোলের সামনে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারলে মনবীর এদিন গোল পেতে পারতেন। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে নষ্ট করলেন সেই সুযোগ। তবে মোহনবাগান সমর্থকদের আশ্বস্ত করলেন এডু গার্সিয়া। অনেকদিন পর চেনা ছন্দে দেখা গেল স্পানিশ ফুটবলারকে। বল হোল্ড করলেন, পাস বাড়ালেন, প্রয়োজনের নীচে নেমে ডিফেন্সকে সাহায্য করলেন। নিজেদের ট্যাকটিক্যাল ফুটবলে সফল এটিকে মোহনবাগান।
দর্শনীয় ফুটবল না খেলেও কার্যকরী ফুটবল খেলে আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ জয় তুলে নিল তাঁরা। লিগ টেবিলে মুম্বই এফসির সঙ্গে সমপরিমাণ ম্যাচ খেলে সমান পয়েন্ট। গোল পার্থক্যে পিছিয়ে সবুজ মেরুন। ম্যাচ শেষে হাবাস জানিয়ে গেলেন বেঙ্গালুরু কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল। প্রত্যেকদিন দ্বিতীয়ার্ধে সবুজ মেরুন চাপ বাড়ালে ও আজ স্ট্র্যাটিজি কিছুটা অন্যরকম ছিল। প্রথমার্ধে প্রেসিং ফুটবল, দ্বিতীয়ার্ধে কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর খেলা। বেঙ্গালুরু ভালো দল হতে পারে, কিন্তু ম্যাচ কিভাবে জিততে হয় সেটা এই টুর্নামেন্টের বোধ হয় অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাসের থেকে ভালো কেউ জানেন না।