#রোজারিও: গত ২৫ নভেম্বর গোটা বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে বিদায় নিয়েছেন তিনি। আলাস্কা থেকে অস্ট্রেলিয়া, কলকাতা থেকে কানাডা, তাঁর অসংখ্য ভক্ত এখনও মারাদোনার মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন। কিন্তু মরেও শান্তিতে নেই ফুটবল রাজপুত্র। দেহ তোলা হতে পারে কবর থেকে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য এটাই সঠিক পথ। গত ৩০ নভেম্বর আর্জেন্টিনার আদালত রায় দিয়েছিল সবরকম প্রয়োজনীয় ফরেনসিক তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কিংবদন্তির দেহ দাহ করা উচিত নয়। আর এবার জাতীয় আদালতের এই রায় আগের দাবিকে আরও জোরালো করল।
ঘটনাটি ঘটে যখন পঁচিশ বছরের ম্যাগলি গিল নামক এক মহিলা আদালতে দাবি করেন দিয়েগো মারাদোনা তাঁর বাবা। তিনি নিশ্চিত নন, তবে তাঁর মা তাঁকে এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন।মারাদোনার মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর সম্পত্তি ভাগ নিয়ে অনেকে বিভিন্ন দাবি তুলেছেন। স্ত্রী ক্লদিয়ার ঘরে দুই মেয়ে দালমা এবং জিয়ানিনার কথা সকলেই জানেন। এছাড়াও আর এক মেয়ে জানা, ছেলে দিয়েগো ফার্নান্দো এবং দিয়েগো সিনাগ্রার কথা স্বীকার করে গেছেন কিংবদন্তি। এছাড়াও কিউবায় চারটি সন্তান রয়েছে তাঁর,এমনই খবর শোনা যায়। এরপর এই মহিলা সত্যি দাবি করছেন কিনা তা দেখার জন্য আদালত এই রায় দিয়েছে।
মারাদোনার আইনজীবী অবশ্য জানিয়েছেন কিছু ডিএনএ স্যাম্পেল রয়েছে যা পরীক্ষা করলেই পিতৃত্বের দাবি স্পষ্ট হয়ে যাবে। তখন আর কবর থেকে দেহ তোলার প্রয়োজন হবে না। এমনিতেই এই আইনজীবী আগেই জানিয়েছিলেন মারাদোনার সম্পত্তির দাবি বেশ জটিল ব্যাপার হতে চলেছে। সবচেয়ে বড় কারণ কিংবদন্তি নিজে কোন উইল করে যাননি। তাঁর সম্পত্তি শুধু আর্জেন্টিনায় না, ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় চারটি দেশে। শুধু টাকা-পয়সা নয়, বাড়ি, গাড়ি, গয়না থেকে শুরু করে বিভিন্ন নামী ব্যক্তিদের দেওয়া উপহার তাতে সামিল। এখন দেখার জল শেষ পর্যন্ত কোন দিকে গড়ায়।