#গোয়া: এক্সপ্রেস ট্রেনের গতিতে ছুটে চলা দলটা হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়েছে। জয়ের হ্যাটট্রিক করে টুর্নামেন্ট শুরু করার পর জামশেদপুরের বিরুদ্ধে হার এবং হায়দারাবাদের বিরুদ্ধে ড্র, কেমন যেন ছন্দপতন ঘটেছে। কিন্তু কেন,কী হল, হঠাৎ করে পারফরম্যান্স গ্রাফ নীচে কেন? চোট, আঘাত, অল্প ব্যবধানে ম্যাচ। রিকভারি সময় পাওয়া যাচ্ছে না। মাঝে একটা দিন সময়। তারপর সামনে এফসি গোয়া। টুর্নামেন্টের অন্যতম আক্রমনাত্মক দলের বিরুদ্ধে নামার আগে অবশ্য বেশ আত্মবিশ্বাসী সবুজ মেরুন ফুটবলাররা।
মনবীর বলছেন, "গত ম্যাচে যে গোলটা করলাম সেটা জীবনের সেরা। ডার্বির থেকেও আনন্দ পেয়েছি গোলটা করে। কিন্তু আমার জন্যই বিপক্ষ পেনাল্টি পেল। জিততে না পারার দুঃখ আছে। গোয়ার বিরুদ্ধে প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেই জয় ফিরব।" দলের রক্ষণে অন্যতম স্তম্ভ প্রীতম কোটাল মনে করেন এই মুহূর্তে দুটো ম্যাচে জয় না এলেও দল যথেষ্ট ভালো জায়গায় আছে। গতবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সময় পাঁচ ম্যাচের পর ঠিক এই জায়গায় ছিল দল। কিন্তু বাঙালি ফুটবলারটি আত্মবিশ্বাসী গোয়ার বিরুদ্ধে ভুল শুধরে জয় ছিনিয়ে নিয়ে মাঠ ছাড়বেন তাঁরা। ডিফেন্স এবং আক্রমণের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরীর কাজটা করেন আইরিশ ফুটবলার কার্ল ম্যাক হিউ। তিনি বলছিলেন, "লম্বা লিগ, চড়াই উতরাই থাকবেই। গোয়া দারুণ আকর্ষণীয় ফুটবল খেলে। কিন্তু আমরা নিজেদের নিয়েই বেশি ভাবছি। নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারলে না জেতার কোনও কারণ নেই। ডিফেন্স একটু দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারলে আক্রমণভাগ গোল করে দেবে।"
অতীতে মোহনবাগানে খেলে যাওয়া শুভাশীষ বসু আবার ফিরে এসেছেন সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে। বাঁ দিক থেকে বিপক্ষকে আটকানো এবং আক্রমণ করার জন্য হাবাসের ভরসা বাঙালি ফুটবলার। শুভাশিস বলছিলেন, "হায়দারাবাদের বিরুদ্ধে জিততে না পারলেও আমরা অনেক সুযোগ তৈরী করেছিলাম। কৃষ্ণ এবং মানবীর স্ট্রাইকার হিসেবে গোল পাচ্ছে। আমাদের সকলকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। লিগ টেবিলে ভাল জায়গায় থাকাই লক্ষ্য। তাই গোয়ার বিরুদ্ধে যে কোনভাবেই জয় ফিরতে হবে"।
দলের কোচ অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাস জানিয়ে দিয়েছেন এখনও প্রায় তিনটি ম্যাচ পাওয়া যাবে না জাভি হার্নান্দেজ কে। ফলে মিডফিল্ডে সৃজনশীলতার অভাব চোখে পড়ছে। এডু গার্সিয়া প্রচুর মিস পাস করছেন। কিন্তু স্প্যানিশ কোচ আশাবাদী গোয়ার বিরুদ্ধে জিততে পারলে পুরনো ছন্দ ফিরে পাবে তাঁর দল। নিজেদের ঘর সামলে তবেই আক্রমণে যাবে সবুজ মেরুন।