#কোচি: বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ গোলার্ধের জাদুকর এখন মাটির তলায়, কবরে। কিন্তু তিনি চলে গেলেও তাঁকে নিয়ে চর্চার কি কোনও শেষ আছে? মারাদোনা প্রেমে কে এগিয়ে? বাংলা না কেরল? এই লড়াই বহু দিনের। ভারতের মত ক্রিকেট সর্বস্ব দেশে যে ক’টা রাজ্যে ফুটবল জনপ্রিয় তার মধ্যে এই দুই রাজ্যের নাম থাকবে সবার ওপরে। মারাদোনা যেমন দু’বার কলকাতায় এসেছিলেন, তেমনই কেরলেও গিয়েছিলেন ২০১২ সালে।
আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে নিয়ে আসার পিছনে ছিলেন কেরলের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ববি চেমানুর। মারাদোনার মৃত্যুতে তাঁর মনে পড়ে যাচ্ছে এক সঙ্গে কাটানো দিনটি। ববি জানাচ্ছেন, ‘‘দিয়েগো মারাদোনা নেই মনে করলেই কষ্ট পাই। আমি সৌভাগ্যবান তাঁকে কাছ থেকে দেখতে পাওয়ার জন্য, সময় কাটানোর জন্য। মারাদোনার নামে মিউজিয়াম হবে। তবে তা কলকাতায় নাকি কেরলে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে যেখানেই হোক, আমরা ঠিক করেছি মারাদোনার উচ্চতা মেনেই সমান মাপের সোনার মূর্তি গড়া হবে।’’
চেমানুর আরও জানালেন, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে ‘হ্যান্ড অফ গড’ গোলের আদলেই তৈরি হবে মূর্তি। যখন এখানে এসেছিলেন তখন তাঁকে একটি ছোট সোনার মূর্তি উপহার দিয়েছিলাম। উনিচেয়েছিলেন বড় মাপের ‘হ্যান্ড অফ গড’-এর একটা মূর্তি যেন করা হয়। সেই ইচ্ছের মর্যাদা দিতে পেরে গর্ববোধ করছেন বলেও জানান তিনি। এছাড়াও চেষ্টা চলছে মারাদোনার ব্যবহৃত কিছু জিনিস নিয়ে আসার। ওর এজেন্টের সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা চলছে চেমানুরের। এমনভাবে মিউজিয়াম তৈরি করা হবে, যাতে বিদেশ থেকে পর্যটক এলেও এটা দর্শনীয় স্থান হয়ে ওঠে। সবদিক থেকে আন্তর্জাতিক মানের মিউজিয়াম গড়ে তোলাই লক্ষ্য, বলে জানালেন ওই ব্যবসায়ী ।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালে আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি যখন শেষবার কলকাতায় এসেছিলেন তখন নিজের একটি মূর্তি উদ্বোধন করেছিলেন নিজের হাতে।
Written by- Rohan Roy Chowdhuryনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Diego Maradona, Museum