#আল থুমামা স্টেডিয়াম: একই গ্রুপে ছিল বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়ার মত বিশ্বফুটবলের হেভিওয়েট দেশ। সঙ্গে কমশক্তিধারী কানাডা। সেই গ্রুপ থেকে যে বিশ্বকাপের পরবর্তী রাউন্ডে যেতে পারবে মরক্কো তা স্বপ্নেও কল্পনা করেননি তাবড় তাবড় বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু শুধু পরের রাউন্ডে যাওয়াই নয়, গ্রুপ এফ থেকে ৩ ম্যাচে ২ জয় ও এক ড্রয়ের সৌজন্যে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিল টপার হয়ে পরের রাউন্ডে গেল আফ্রিকান দেশ মরক্কো।
গ্রুপের শেষ ম্যাটে কানাডার বিরদ্ধে ড্র করলেই শেষ ষোলোর টিকিট পাকা হয়ে যেত ওয়ালিদ রেগরাগুইয়ের দলের। কিন্তু কানাডার বিরুদ্ধে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই নেমেছিল মরক্কো। এদিন খেলা শুরুর ৪ মিনিটের মাথাতেই হাকিম জিয়েচের গোলে এগিয়ে যায় মরক্কো। দ্বিতীয় গোলের জন্য বেশি প্রতীক্ষা করতে হয়নি আফ্রিকার দেশটিকে। ম্যাচের ২৩ মিনিটে ইউসেফ এন নেসিরির গোল করে ম্যাচের ব্যবধান ২-০ করে।
৩৬ বছর পরে আবার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিল মরক্কো। এর আগে ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়েছিল মরক্কো। সেটাই ছিল প্রথম ও শেষ বার। কাতারে আবার এক বার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিল আফ্রিকার দেশ।
আরও পড়ুনঃ ব্যর্থ বেলজিয়ামের 'গোল্ডেন জেনারেশন', ক্রোটদের বিরুদ্ধে ড্র করে বিদায় লুকাকুদেরএরপর ম্যাচে একের পর এক আক্রমণ গড়ে তোলে কানাডা। কিন্তু কিছুতেই গোলের মুখ খেলতে সফল হচ্ছিল না কানাডার অ্যাটাকিং লাইন। কিন্তু ম্যাচের ৪০ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান কমে কানাডার। ম্যাচের প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মরক্কো। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই একাধিক আক্রমণ গড়ে তুললেও কেউ গোলের মুখে খুলতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে ম্যাচ জেতে মরক্কো।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।