#লুসেইল স্টেডিয়াম: স্টেডিয়াম জুড়ে সেই সময় জনবিস্ফোরণ। কারও চোখের জল বাঁধ মানছে না, কেউ আবার আনন্দে আত্মহারা। কাতারের লুসেইল স্টেডিয়াম না আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরস তা বোঝা দায়। কাতারের মরুভূমির বালি ঝড় আর প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আর্জেন্টিনার রাজধানীর সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ তখন মিলে মিশে একাকার। কারণ একটাই। আরও একবার সমালোচকদের জবাব দিয়ে সেই বাঁ পায়ের ঝলকানিতে ওচোয়া নামক 'দিওয়ারকে' ভেদ করেছেন লিওনেল মেসি। একইসঙ্গে ম্যাজিশিয়ানের জাদু পায়ের ছোঁয়ায় বেচে থাকল কোটি কোটি মানুষের স্বপ্ন।
সৌদি আরবের বিরুদ্ধে হার চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। প্রশ্নের মুখে ফেলছিল লিওনেল মেসির শ্রেষ্ঠত্বকে। পারবেন কি এল এম টেন এই অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে? সেই প্রশ্ন ঘুরছিল ফুটবল বিশ্বে। তার উত্তর যে ১০ নম্বর জার্সিধারীর বাঁ পায়েই লুকিয়ে তাও জানা ছিল সকলের। কারণ বারবার তাঁরই দায়িত্ব দুর্বল একটা দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার। দলটার প্রাণভোমরাই যে তিনি। আর মেক্সিকোর বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচের ৬৪ মিনিটে মেসির বাঁ পায়ের চকিতে শট জালে জড়াতেই স্বার্থক কোটি কোটি মানুষের বিনিদ্র রজনী। আর মেসির পায়ে 'ডেডলক' ভাঙতেই তারপর এনজো ফার্নান্ডেদের বিশ্বমানের গোল। ২-০ গোলে মেক্সিকোকে হারিয়ে রূপকথার উত্থান নীল-সাদা ব্রিগেডের।
১৯৯৩ সালের পর দেশকে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন করেছেন লিওনেল মেসি। প্রায় তিন দশক আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়ের যে খরা আর্জেন্টাইন ফুটবলে চলছিল সেই শাপমোচন করেছে মেসির দল। এসেছে ফিনালিসামা ট্রফিও। পরপর দুটি ট্রফি দিয়েছেন দেশকে। নতুন করে প্রমাণ করার কিছু নেই লোকটার। তবুও বারবার পরীক্ষা দিতে হবে, প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে তাকেই। কারণ সমালোচকদের মতে বিশ্বকাপটা যে এখনও অধরা।
১৯৫৪ সালে পুসকাসের হাঙ্গেরির কাছেও অধরা ছিল সোনার ট্রফিটা। কিন্তু সেই বিশ্বকাপ এখনও 'পুসকাস বিশ্বকাপ' নামেই খ্যাত। ১৯৭৪ বিশ্বকাপে ইওহান ক্রয়েফের নেদারল্যান্ডস, রজার মিল্লার ক্যামেরুন দলকেও চিরকাল স্মরণে রাখবে ফুটবল বিশ্ব। তবে মেসির কাছে এখনও শেষ সুযোগ রয়েছে অধরা বিশ্বকাপটা স্পর্শ করার। উল্টে বলা চলে বিশ্বকাপটার শেষ সুযোগ মেসির ছোঁয়া পাবার।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Argentina, Fifa world Cup 2022, Lionel Messi