#রাঁচি: ক্রিকেট মাঠে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়। চাপ সামলে হারের মুখ থেকে কিভাবে জয় ছিনিয়ে আনতে হয় তাঁর হাতেই শেখা। এছাড়া বাইক এবং গাড়ির প্রতি তাঁর নেশা সকলের জানা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন বছর খানেকের বেশি। আইপিএল ছাড়া তাঁর ক্রিকেট পরিধি সমাপ্ত। কিন্তু ব্যাট, বলের দুনিয়াকে একটু দূরে সরিয়ে রেখে আপাতত একটা নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। রাঁচির খামার বাড়িতে কিছুটা জায়গা বের করে জৈব শাক সবজি চাষ করছেন মাহি। প্রায় দশ একরের বেশি জায়গা জুড়ে চলছে চাষাবাদ। এই জমিতে ফলিত শাক সবজির মধ্যে রয়েছে বাঁধাকপি, টমেটো, স্ট্রবেরি, মটর এবং আরও অনেক কিছু। এই খামার থেকে আসা বাঁধাকপি এবং টমেটোর রাঁচির স্থানীয় বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
দেশের ভেতর বিভিন্ন বাজারে এই সবজি রফতানির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে শুধু দেশেই নয়, ধোনির লক্ষ্য আন্তর্জাতিক বাজার ধরা। সেটা মাথায় রেখেই একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ছাড়াও উপসাগরীয় কয়েকটা দেশে এই ফল ও সবজি বিতরনের জন্য সংস্থাটি দায়বদ্ধ। এছাড়াও নিজেদের রাজ্যের গর্ব ধোনির জন্য এগিয়ে এসেছে ঝাড়খন্ড সরকার। রাজ্যের কৃষি বিভাগ কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে এই জমিতে উৎপন্ন হওয়া শাক,সবজি আমিরাতে পাঠানোর দায়িত্ব নিয়েছে। এতে অবশ্য রাজ্য সরকারের লাভের কিছু অংশ থাকলেও থাকতে পারে। সূত্রের খবর প্রায় কুড়িজন মানুষ দায়িত্বে রয়েছেন ধোনির এই প্রকল্পে। ক্যাপ্টেন কুল নিজেও অনেক সময় দিয়েছেন এই জৈব চাষে। কখনও নিজের জমিতে এসে সেলফি তুলেছেন, আবার কখনও জমিতে কাজ করা মানুষদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন।
আসলে রাঁচিতে জন্ম হলেও ধোনির পরিবার আসলে উত্তরাখণ্ডের। সেখানে পারিবারিক সূত্রে অতীতে চাষাবাদ ছিল তাঁদের। যাই হোক, ক্যাপ্টেন কুলের এই নয়া অবতারে সাড়া পড়ে গিয়েছে ভক্তদের মধ্যে। ক্রিকেট মাঠের সফল ব্যাটসম্যান, উইকেট-রক্ষক এবং অধিনায়কের মত ব্যবসাতেও ধোনি ধামাকা হলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। আসলে এই জৈব চাষাবাদ গত এক বছর নিজে প্রচুর সময় দিয়েছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। এমনকি বহু নামী সংস্থার এনডোর্সমেন্ট ছেড়ে দিতে হয়েছে তাঁকে। তবুও এই নতুন চ্যালেঞ্জ জিততে মরিয়া ধোনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: M.S Dhoni