#মুম্বই: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আদিউ মহেন্দ্র সিং ধোনি-র৷ ২০২০ -তে টি টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ হওয়ার কথা থাকলেও তা করোনা অতিমারির জেরে এক বছর পিছিয়ে চলে গেল ২০২১-এ ৷ ধোনি-র এ মরশুমের আইপিএলের ভাগ্য, কতদিন খেলবেন ধোনি এই সব জল্পনার মধ্যে তিনি নিজেই জানিয়ে দিলেন কেরিয়ারের ফুলস্টপের কথা৷ নিজের স্টাইলে সকলকে চমকে দিয়ে৷ ১৫ অগাস্ট শেষ হয়ে গেল মাহির আন্তর্জাতিক কেরিয়ার৷ অন্যের ওপর না ছেড়ে নিজেই দায়িত্ব নিয়ে নিজের কেরিয়ারের কঠিনতম সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেললেন৷ কারণ তাঁর মাঠে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে কারোর প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা হয়নি কোনওদিন৷ ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে তিনি অন্যরকম স্থানের অধিকারী আর শেষটাও করলেন অন্যভাবেই৷
দেখে নিন ক্যাপ্টেন কুলের কেরিয়ারের মাইলস্টোন...
ডিসেম্বর ২০০৪
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে ধোনির অভিষেক
অক্টোবর ২০০৫
দলের প্রয়োজনে ধোনিকে ব্যাটিং লাইন আপে এগিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ ১৪৫ বলে অপরাজিত ১৮৩ রানের ইনিংস তাঁর কেরিয়ারের সেরা স্কোর৷ ধোনি ম্যান অফ দ্য সিরিজ পুরস্কার পেয়েছিলেন৷ ২০০৫-এ চেন্নাইতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ধোনির৷
সেপ্টেম্বর ২০০৭
রাহুল দ্রাবিড়ের থেকে অধিনায়কত্বের ব্যাটন পান ধোনি৷
সেপ্টেম্বর ২০০৭
একদিনের ক্রিকেটে উইকেটের পিছনে থেকে সবচেয়ে বেশি আউট করার পরিসংখ্যানে অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে স্পর্শ করেন মাহি৷ একটি ইনিংসে ৬ টি উইকেট নেন তিনি৷ আইসিসি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হন তিনি৷ দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত৷ নির্ণায়ক ওভার অভিজ্ঞ হরভজন সিংকে বল না দিয়ে যোগিন্দর শর্মার হাতে বল তুলে দিয়ে কামাল করেন তিনি৷
অগাস্ট ২০০৮
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজে প্রথমবার ভারত জয় পায় তাঁর নেতৃত্বে৷ শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথমবার এই কৃতিত্ব অর্জন করে ভারত৷ এই বছরেই রাজীব গান্ধি খেলরত্ন সম্মান পান তিনি৷
নভেম্বর ২০০৮
টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে পূর্ণ দায়িত্ব পান ধোনি৷ নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টে এই সুযোগ পান তিনি৷ অনিল কুম্বলে আহত হওয়ায় তাঁর কাছেই আসে নেতৃত্বের দায়িত্ব৷ ডিসেম্বরে তিনি আইসিসি-র প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার নির্বাচিত হন৷
ডিসেম্বর ২০০৯
ধোনির অধিনায়কত্বে ভারত আইসিসি টেস্ট ক্রিকেট ক্রমতালিকার এক নম্বরে পৌঁছে যায় ভারত৷ ২০০৯ -তে নিজের আইসিসি ক্রিকেটার অফ দ্য ইয়ার সম্মান ধরে রাখেন মাহি৷ তিনিই প্রথম প্লেয়ার হিসেবে ২ বার এই ট্রফি জেতেন৷
মে ২০১০
ধোনি-র নেতৃত্বে চেন্নাই সুপার কিংস নিজেদের প্রথম আইপিএল ট্রফি জয় করে৷ মুম্বইকে ২২ রানে হারিয়ে জয় পান মহেন্দ্র সিং ধোনির সিএসকে৷
মে ২০১১
ধোনির জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ৷ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে মাত্র ৭৯ বলে ৯১ রান করেন৷ ২৮ বছর পর দেশ আবার বিশ্বকাপ ক্রিকেট জেতে৷ নুয়ান কুলশেখরার বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দেশকে বিশ্বকাপ এনে দেন৷ তিনিই হন বিশ্বকাপ ফাইনালের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ৷
মে ২০১১
চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয়বার আইপিএল ট্রফি এনে দেন৷ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ফাইনালে ৫৮ রানে হারায় তাঁর দল৷ এই বছরেই ভারতীয় সেনা তাঁকে সাম্মানিক কর্নেল পদ দেয়৷
মার্চ ২০১৩
ভারতীয় ক্রিকেটে টেস্টে সর্বকালের সেরা অধিনায়ক হন ধোনি৷ সৌরভের ৪৯ টি টেস্টে ২১ টি জয়ের রেকর্ড ভেঙে দেন তিনি৷ ধোনির অধিনায়কত্বে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতে ভারত৷ ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৫ রানে হারিয়ে জয় পায় ভারত৷ তিনিই প্রথম অধিনায়ক যিনি তিনটি আইসিসি ট্রফি জয় করেন৷
ফেব্রুয়ারি ২০১৩
ধোনি টেস্টে নিজের প্রথম দ্বিশতরান করেন৷ ৩৬৫ বলে ২২৪ রান করেন তিনি৷এর আগে কোনও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে ভারতে সর্বোচ্চ রানের মালিক ছিলেন বুধি কুন্দেরান৷ তাঁর রান ছিল ১৯২৷ ভারত অস্ট্রেলিয়া ৪-০ হারিয়ে টেস্ট সিরিজ জেতে৷
এপ্রিল ২০১৮
ধোনি দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্মভূষণ পান৷ এই বছর মে মাসে ধোনির অধিনায়কত্বে তৃতীয়বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় সিএসকে৷ সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ধোনির দল৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: CSK, Indian Cricket Team, Mahendra Singh Dhoni, MS Dhoni