#আমেদাবাদ: গতবার আইপিএল থেকে তাঁর উত্থান। সৌরাষ্ট্রের অখ্যাত ভাবনগর শহরের ছেলেটির পরিবারে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। মাত্র ২৩ বছর বয়স। কিন্তু এর মধ্যেই অনেক কিছু দেখে ফেলেছেন। জীবন কতটা কঠিন হতে পারে, কতটা নির্মম হতে পারে শিখেছেন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে। আইপিএল নিলাম চলাকালীন তাঁর দাদা আত্মহত্যা করেন। কয়েকদিন আগে করোনার কারণে মৃত্যু হয় বাবার। ছেলের জাতীয় দলের অভিষেক দেখে যেতে পারেননি বাবা। তবে দেখে গিয়েছিলেন রাজস্থানের হয়ে আইপিএল খেলা।
সেই চেতন সাকারিয়া রাহুল দ্রাবিড়ে মুগ্ধ। বাঁহাতি পেসার জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কা সফরে যখন সুযোগ পেলেন টিম ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে চাপানোর, তখন প্রথমটা বিশ্বাস করতে পারেননি। নিজেই নিজেকে চিমটি কেটে দেখেছিলেন বাস্তব কিনা। ভারতের হয়ে একটি ওয়ানডে এবং দুটি টি টোয়েন্টি খেলেছেন। উইকেট নিয়েছেন। যেভাবে হাতের পেছন থেকে স্লোয়ার ব্যবহার করে ব্যাটসম্যানদের চমকে দিয়েছেন, তা প্রশংসা কুড়িয়েছে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের।
সেই চেতন একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড় যেদিন প্রথম তাঁর সঙ্গে কথা বলেন, মুহূর্তটা তিনি ভুলতে পারবেন না। দ্রাবিড় তাঁকে জানান যে তিনি এই ছেলের খেলা টিভিতে দেখেছেন। ক্রিকেট কিংবদন্তির কাছ থেকে এই কথা শুনে আনন্দে কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল চেতনের। পরে রাহুল তাঁর থেকে পরিবার এবং সৌরাষ্ট্র দলের সম্পর্কে জানতে চান। অতিরিক্ত চাপ নিতে এবং বেশি চিন্তা করতে বারণ করেন। ড্রেসিংরুমে যাতে সহজে মানিয়ে নিতে পারেন, সেই উপদেশ দেন।
চেতন মনে করেন আইপিএল তাঁকে নিজেকে চেনানোর প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে তিনটি ম্যাচ তাঁকে দায়িত্ব নিতে শিখিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কতটা কঠিন বুঝতে শিখিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা চাপ নিতে শিখিয়েছে। এই মুহূর্তে তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য দুবাইতে আই পি এল এর বাকি অংশে ভাল পারফর্ম করা এবং পাশাপাশি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে যাতে সুযোগ পান, সেটা মাথায় রেখে পারফর্ম করা। রাহুল দ্রাবিড় যেভাবে তাঁর কাজ সহজ করে দিয়েছিলেন সেটা তাঁর পক্ষে ভোলা সম্ভব নয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Rahul Dravid