ভারত - ৩৩৬/৬
ইংল্যান্ড - ৩৩৭/৪
ইংল্যান্ড জয়ী ৬ উইকেটে
#পুনে: কথায় বলে সকাল থেকে বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে। কিন্তু সবসময় যে এই প্রবাদ সত্যি প্রমাণিত হয় এমন নয়। শুক্রবার সেরকমই একটি দিন ছিল ভারতের কাছে। টসে হেরে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের নতুন অধিনায়ক বাটলার। চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছিলেন ইয়ন মর্গ্যান। ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ভারত যখন রাহুলের শতরান, পন্থ এবং পান্ডিয়ার মারকুটে ব্যাটিংয়ের সুবাদে ৩৩৬ রানের বিশাল স্কোর তুলল, তখন কে বলবে এই ম্যাচটা ভারত হারতে পারে। কিন্তু ক্রিকেট কেন মহান অনিশ্চয়তার খেলা এদিন আবার প্রমাণিত হল।
জনি বেয়ারস্টো এবং জেসন রয় ওপেন করতে নেমে উইকেট না হারিয়ে ১১০ তুলে ফেলেন। রয় ৫৫ রান করে রান আউট হয়ে গেলেও বেয়ারস্টো এবং বেন স্টোকস রুদ্রমূর্তি ধারণ করলেন। জনি আগেরদিন শতরান হাতছাড়া করলেও এদিন করেননি। একের পর এক বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারিতে বিশাল রানের লক্ষ্য মজার ছলে পেরিয়ে যাওয়ার মত অবস্থা তৈরি করল ইংল্যান্ড। এক রানের জন্য শতরান হাতছাড়া করলেন বেন স্টোকস। একাই মারলেন ১০ টি ছক্কা।
কুলদীপ, ক্রুনাল, ভুবনেশ্বর কুমারদের ক্লাব পর্যায়ের বোলার মনে হচ্ছিল এই দুজনের সামনে। ভুবনেশ্বর ফিরিয়ে দিলেন বেন স্টোকসকে। কিন্তু ততক্ষনে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, কে এল রাহুল, হার্দিকদের মুখে তখনও অবিশ্বাস স্পষ্ট। রানের পাহাড় করেও হারতে হবে কেউ ভাবতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১২৪ রানের মাথায় প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে বিরাট কোহলির হাতে ধরা পড়লেন জনি। একই ওভারে কৃষ্ণর দুরন্ত গিয়ার ইয়র্কার বোল্ড করে দিল বাটলারকে। ৩৭ নম্বর ওভার যেন নতুন স্বপ্ন নিয়ে এল ভারতের সামনে।
মালাণ এবং লিভিংস্টোন দুজন নতুন ব্যাটসম্যান উইকেটে। ভারতীয় বোলাররা একটা মরণকামড় দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বটে, কিন্তু বেন স্টোকস এবং জনি বেয়ারস্টো যে ধ্বংসলীলা চালিয়ে গিয়েছিলেন, তারপর ভারতের পক্ষে ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব ছিল না। ইংল্যান্ড প্রমাণ করল কেন তাঁরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তৃতীয় ম্যাচটা নিঃসন্দেহে জমে গেল।রবিবার বিশ্বের প্রথম এবং দ্বিতীয় দলের লড়াইয়ে শেষ হাঁসি কে হাসবে সেটাই এখন দেখার।