#নয়াদিল্লি:
প্রথমে ব্যাটিং করে নিয়েছে একটি দল। বিপক্ষ টিম ব্যাটিং করতে নামার আগে পর্যন্ত জানেই না তাদের কত রান করতে হবে জিততে হলে! টার্গেট না জেনেই ব্যাটিং করতে নেমে গেল একটি দল। তারপর নয় বল খেলার পরই দুবার বদলে গেল টার্গেট। শুনেছেন কখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন কিছু হয়েছে! পাড়ার ক্রিকেট টুর্নামেন্টেও হয়তো এমন হয় না। আর এটা তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট! নিউ জিল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এমন হাস্যকর কাণ্ড ঘটল। কিন্তু কেন এমন হল, ম্যাচ পরিচালকরা তার সদুত্তর দিতে পারলেন না। ডিএলএস- এর ওপর সব দোষ চাপিয়ে খালাস তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, ডিএলএস নিয়মের গোলমেলে হিসাবের জন্যই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা লক্ষ্যমাত্রা না জেনে ব্যাটিং করতে নামতে বাধ্য হলেন।সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ডের স্কোর যখন ১৭.৫ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৭৩, তখনই মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির জন্য নিউ জিল্যান্ডের ইনিংস আর গড়ায়নি। ওখানেই ইনিংস শেষ বলে ঘোষণা করে দেন আম্পায়াররা। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় ম্যাচের ফলাফল নির্ণয়ের জন্য। কিন্তু ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির গোলমেলে হিসেব নিয়ে আগেও বহু কথা উঠেছে। এদিও ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি যাবতীয় গন্ডগোলের মূলে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যখন ব্যাটিং করতে নামলেন তখন তাঁরা লক্ষ্য কত তাই জানেন না! তিন-চার বল খেলার পর তাঁদের জানানো হল, জিততে হলে ১৪৭ রান করতে হবে। কিন্তু এর পরও লক্ষ্যমাত্রা স্থির হল না।
হেমিশ বেনেট দ্বিতীয় ওভারে বোলিং করতে এলেন। সেই ওভারে তিন বল হওয়ার পরই ফের বাংলাদেশের টার্গেট বদলে গেল। খেলা থামালেন আম্পায়াররা। ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো নতুন টার্গেট জানালেন। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা এবার জানতে পারলেন, ১৬ ওভারে তাদের ১৭১ রান তুলতে হবে। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি হিসেবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ২৮ রানে ম্যাচ হারতে হল। নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেট খুইয়ে ১৪২ রান তুলতে পেরেছিল বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার হাফ সেঞ্চুরি করেন। নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি, হেমিশ বেনেট ও অ্যাডাম মিল্নে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।