#কলকাতা: বঙ্গ ক্রিকেটে নক্ষত্রপতন। প্রয়াত ময়দানের বর্ষীয়ান কোচ অশোক মুস্তাফি। বৃহস্পতিবার ভোরে সল্টলেকে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম কোচ। মৃত্যুকালে অশোক মুস্তাফির বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই বয়স জনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মেয়ে ইংল্যান্ডে থাকায় অশোক মুস্তাফির মরদেহ রাখা হয়েছে পিস হাভেনে। মেয়ে ফিরলেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে। দেশে ফেরার জন্য ইতিমধ্যেই ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন অশোক মুস্তাফির কন্যা।
এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অশোক মুস্তাফি। ছোটবেলার স্যারকে হাসপাতালে ভর্তি করতে উদ্যোগ নেন সঞ্জয় দাস সহ কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্র। সেই সময় ছোটবেলার বন্ধু সঞ্জয় দাসের থেকে অশোক মুস্তাফির অসুস্থতার খবর জানতে পারেন সৌরভ। তারপরই পাশে থাকার আশ্বাস দেন। হাসপাতালে যাতে সু-চিকিৎসা পান অশোক মুস্তাফি সে ব্যাপারে কথা বলেন সৌরভ। কয়েকদিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন অশোক মুস্তাফি। তবে বুধবার তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে পরলোক গমন করেন বর্ষীয়ান এই কোচ।
বিএনআর ক্লাবের হয়ে দীর্ঘদিন ক্রিকেট খেলেন অশোক মুস্তাফি। তারপর কোচিং জীবন শুরু। ছোটবেলায় দুখীরাম ক্রিকেট কোচিং সেন্টারে অশোক মুস্তাফির কাছেই ক্রিকেটে হাতেখড়ি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ক্রিকেটের যাবতীয় অ-আ-ক-খ অশোক বাবুর কাছেই শেখেন মহারাজ। বাবা চন্ডী গঙ্গোপাধ্যায় হাত ধরে অশোক মুস্তাফির দুখীরাম কোচিং সেন্টারে ক্রিকেট শিখতে যান সৌরভ। এরিয়ান ক্লাবের গ্যালারির নিচে সত্তর দশকে তৈরি হয় দুখীরাম ক্রিকেট কোচিং সেন্টার। এখান থেকে একাধিক ক্রিকেটার বাংলার হয়ে রঞ্জি খেলেছেন। ক্রিকেটার তুলে আনার ক্ষেত্রে এই কোচিং সেন্টারের অবদান প্রচুর। সেই দুখীরাম কোচিং সেন্টার প্রশিক্ষকের দায়িত্বে দীর্ঘদিন ছিলেন অশোক মুস্তাফি। ১৯৯২ সালে দুখীরাম থেকে হাওড়া ইউনিয়নে ক্রিকেট কোচিং সেন্টারে যোগ দেন তিনি। ২০০০ সালে ময়দান থেকে সরে দাঁড়ান অশোক মুস্তাফি। তারপর কয়েকদিন সল্টলেকে একটি ক্রিকেট কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।