#কলকাতা: বিশ বছরের ব্যবধান। বিলেতে বিশ্বকাপের আসর। কিন্তু আখ্যা পাচ্ছে বৃষ্টিকাপের। ম্যাচের পর ম্যাচ বাতিল। কিন্তু শুধুই কি বৃষ্টি ? আইসিসির কোনও দায় নেই ?
কুড়ি বছর পর আবার বিলেতের মাঠে বিশ্বযুদ্ধ। কিন্তু বিশ্বকাপ হঠাৎই যেন বৃষ্টিকাপ। গ্রুপ পর্যায়ে এর মধ্যেই পণ্ড হয়েছে অনেকগুলি ম্যাচ। উন্ড রবিন লিগে নেই কোনও রিজার্ভ ডে। আইসিসি-র যুক্তি, বিরানব্বইয়ের ফর্ম্যাটে ম্যাচ হওয়ায় রিজার্ভ ডে অসম্ভব। শশাঙ্ক মনোহরের আইসিসির কার্যত অসহায় দশা। কিন্তু কুড়ি বছর আগে এই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছিলেন তৎকালীন আইসিসি প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া। ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড ছাড়াও ওয়েলস, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসে ম্যাচ হয়েছিল। মোট ২১টি মাঠে ৪২টি ম্যাচ হয়। গ্রুপ পর্বে একটি মাত্র ম্যাচে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল। এজবাস্টনে ভারত ও ইংল্যান্ড ম্যাচ রিজার্ভ ডে-তে গড়িয়েছিল নিরানব্বইয়ের উদাহরণ টেনে এনে আইসিসির সিদ্ধান্তে অবাক ডালমিয়া পুত্র ও সিএবি যুগ্মসচিব অভিষেক ডালমিয়া।
আরও পড়ুন- CWC 2019: ‘হ্যাটট্রিক বলের আগে ধোনি আমায় ইয়র্কার দিতে বলেছিল...’, জানালেন শামি
২০০৩-এই চলতি বিশ্বকাপের ভেন্যু ঠিক করেছিল আইসিসি। সেই মে মাসেই। বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। এবার শুধু খেলা হচ্ছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে। মাত্র ১১টি মাঠে খেলা হচ্ছে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, বৃষ্টি হলে পিচ, বোলিং লাইন আপ ও তিরিশ গজের ইনার সার্কেলের কিছুটা ঢেকে রাখা হয়। সেই নিয়ম পালন করতে গিয়ে বৃষ্টি হলেই আউটফিল্ডে জল জমছে। প্রশ্ন উঠছে, পরিস্থিতি বিচার করে কি নিয়মে বদল করা যেত না? সৌরভ-অভিষেকের সিএবি ইংল্যান্ড থেকেই ফুল গ্রাউন্ড কভার এনেছিলেন। তাই বৃষ্টি থামলেই ইডেনে বল গড়াতে শুরু করে।
ইডেন পারলেও ইংল্যান্ড পারল না। তাই একরাশ বিরক্তি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় দর্শকদের। শশাঙ্ক মনোহরও হয়তো জগুদা হয়ে উঠতে পারলেন না।