#মুম্বই: বিলেতের মাটিতে সেদিন ইতিহাস তৈরি করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। সারাদিন অনুশীলন করে রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন হোটেলের ঘরে। হঠাৎ মাঝরাতে দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। রিসেপশন থেকে পেয়েছিলেন দুঃসংবাদটা। স্ত্রী অঞ্জলি ফোন করে জানিয়েছিলেন বাবা রমেশ তেন্ডুলকরের মৃত্যুর খবর। পরে বাবাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। সাহিত্যিক বাবার কাছ থেকে যে শিক্ষা পেয়েছিলেন তা মনে রেখেছেন আজীবন।
কিন্তু ব্যাট হাতে বিশ্বকাপের মঞ্চে সেদিন ধ্বংসাত্মক রূপ ধরেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং কেনিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ৩২৯ রান করে ভারত। সৌজন্যে সচিনের ১৪০ রানের অপরাজিত ইনিংস। ২২ বছর আগে ২৩ মে ছিল সেই ম্যাচ। শত শতরানের মালিকের কাছে এই শতরানটা বোধ হয় এখনও বিশেষ। ১৯৯৯ সালের ১৯ মে সচিনের পিতৃবিয়োগ ঘটে। দেশে ফিরে এসেছিলেন সচিন। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে নেমে হেরে যায় ভারত। পরের পর্বে যাওয়ার বাকি ৩ ম্যাচে জিততেই হতো ভারতকে। সচিন ফিরে গেলেন ইংল্যান্ড।
কেনিয়া ম্যাচের আগে দলের সঙ্গে যোগ দেন। এবং নেমেই সেই অবিস্মরণীয় ইনিংস। শতরানের পর আকাশের দিকে ব্যাট তুলে বাবাকে স্মরণ করার সেই দৃশ্য হয়তো এখনও দেখতে পায় ভারতবাসী। ১০১ বলে ১৪০ রান করেছিলেন সচিন। ৩টি ছয় এবং ১৬টি চার মেরেছিলেন তিনি। পরে বহুবার ইন্টারভিউতে জানিয়েছেন ওই বিশেষ দিনটির কথা। প্রতিটা বলে বাবার কথা চিন্তা করছিলেন। বুঝতে পারছিলেন প্রতিটা মুহূর্তে বাবা সঙ্গে আছেন।#OnThisDay 2️⃣2️⃣ years ago, @sachin_rt scored a sensational ton in a crucial game against at the 1999 @cricketworldcup In an emotional moment, the Master Blaster dedicated the innings to his father who passed away a few days before the game. #OneFamily #MumbaiIndians @ICC pic.twitter.com/cpraRALypf
— Mumbai Indians (@mipaltan) May 23, 2021
তাই শতরান করে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। চোখের কোন চিকচিক করে উঠেছিল। আজ মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সেই দিনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে। ভাগ্যবান ক্রিকেটপ্রেমীরা যাঁরা ওই দিনের সাক্ষী ছিলেন, তাঁদেরও নস্টালজিক হওয়ার কথা বৈকি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Mumbai Indians, Sachin Tendulkar