#নন্দীগ্রাম: হাতে আর ঠিক ছ'দিন। বাংলার নির্বাচনের সবচেয়ে হেভিওয়েট আসন নন্দীগ্রামে ভোট হবে ১ এপ্রিল। তার ঠিক আগেই নন্দীগ্রাম ঘুরে গেলেন যোগী আদিত্যনাথ। যোগীর ফোকাসে রইল হিন্দু ভোট একত্রীকরণ, হিন্দুত্বের বাণেই বিঁধতে চাইলেন মমতাকে। যোগীর দাবি, বাংলায় দুর্গাপুজা করতে সমস্যায় পড়তে হয়।
তাঁর কথায়, আমরা ইউপি-তে দুর্গা পুজোয় কোনও বাধা দিইনা। এখানে সেটা হয়না। এই দাবির পক্ষে তিনি অবশ্য কোনও যুক্তি দেননি। এদিন দলের নতুন অথচ অচিরেই তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠা শুভেন্দু অধিকারীর ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায় যোগীর মুখে। তিনি বলেন, "আমি অভিনন্দন জানাব শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি বিজেপিতে এসে যোগ দিয়েছেন। সোনার বাংলা গড়তে এগিয়ে এসেছেন।"
কথায় কথায় আসে নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ। যোগী আদিত্যনাথ বলেন, "আজ থেকে ১৪ বছর আগে এখানে কমিউনিস্টরা যে আচরণ করেছিল তাতে অনেকে শহিদ হয়। সেই শহিদদের উপরে ভর করে মমতা দিদি ক্ষমতায় আসে। কিন্তু তাদের উন্নয়ন তিনি করেননি।।"
উন্নয়নের রূপরেখা তুলে ধরে যোগীর ব্যখ্যা, এখানে অরাজকতা চলছে। নতুন শিল্প নেই। আগের শিল্প কারখানাও বন্ধ হচ্ছে। ফলে যোগী বলছেন, বাংলায় পরিবর্তন চাই। তাঁর কথায়, পরিবর্তনের হাওয়া বইছে এখানে। যোগীর কটাক্ষ, "এখানে হাইওয়ে নেই। রেল নেই। শুধু জয় শ্রীরাম বললে রেগে যাওয়া আছে। এইমস নেই, আই আই টি নেই।"
যোগীকে নন্দীগ্রামে নিয়ে আসার কারণ ব্যাখ্যায় পর্যবেক্ষকরা বলে এসেছেন, শুভেন্দু-সহ গোটা গেরুয়া শিবিরই চাইছে নন্দীগ্রামে হিন্দুভোট একত্রিকরণ। আর তা করতে চাই হিন্দুত্বের হাওয়া তৈরি করা। সেই কাজে পারঙ্গম যোগী এদিন বলেন, বাংলার আওয়াজ বাংলায় রোখা হচ্ছে। মমতাদি জয় শ্রীরাম বলতে দেন না। রাম মন্দির নির্মাণে বাংলা সমর্থন করেছে। বিজজেপি ক্ষমতায় আসলে এক সোনার বাংলা দেব।। উত্তরপ্রদেশের মতো গুন্ডা, দুষ্কর্ম যারা জড়িত তাদের আইন মোতাবেক শাস্তি দেওয়া হবে।
দলের বাকি নেতাদের মতো মনীষীপুজোও বাদ পড়েনি যোগীসভায়। তিনি শুরুতেই বলেন, "বাংলার মাটি সকলকে প্রেরণা দেয়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিল বাংলা। স্বাধীন ভারতে নয়া দিশা এই বাংলার মাটি থেকে হয়েছিল।দেশের প্রথম নোবেল, দেশের জাতীয় সঙ্গীত ও বন্দেমাতরম সব এই বাংলা দিয়েছে। এই বাংলাতেই মসনদ দখল করতে চাইছেন যোগী আদিত্যনাথের দল।"