#বর্ধমান: ফের করোনা আক্রান্তের হদিশ পূর্ব বর্ধমান জেলায়। এবার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এলো কেতুগ্রামের এক মহিলার। তিনি কলকাতায় করোনা হেল্প লাইনের কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন। কলকাতা থেকে তিন দিন আগে বাড়ি এসেছিলেন ওই মহিলা কর্মী।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা কর্মী কলকাতার রাজারহাটে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখানে তাঁর লালা রসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এদিন তাঁর রিপোর্ট আসে। ওই মহিলা কর্মীর রিপোর্ট করোনা পজিটিভ বলে কলকাতার রাজারহাট থেকে কেতুগ্রাম থানায় মেসেজ পাঠানো হয়। খবর যায় জেলা প্রশাসনের কাছেও। এরপরই তৎপরতা বাড়ায় জেলা পুলিশ প্রশাসন। করোনা আক্রান্ত ওই মহিলাকে দুর্গাপুরের করোনা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁর সংস্পর্শে আসা পরিবারের তিন জনকে বর্ধমানের প্রি কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়াও ওই মহিলার সংস্পর্শে আর কারা এসেছেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ওই মহিলার বাড়ি কেতুগ্রামের পালিটা অঞ্চলের রতনপুর গ্রামে। রাতেই ওই গ্রামে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া শুরু করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে ঢোকার সব রাস্তাই বন্ধ করে দেওয়া হবে। গ্রামের বাসিন্দারা ২১ দিন বাইরে যেতে পারবেন না। বাইরের কাউকেই ওই গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে না। আক্রান্তের বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার পরিধি এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষনা করেছে জেলা প্রশাসন। করোনার উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই ওই মহিলা কিভাবে কলকাতা থেকে পূর্ব বর্ধমানে তাঁর বাড়িতে এলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেক ক্ষেত্রে কলকাতা থেকে আসা বাসিন্দাদের জেলায় ঢুকতে গিয়ে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। এক্ষেত্রে ওই মহিলা পুলিশের নজর এড়িয়ে বাড়িতে গেলেন কি করে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দারা। এলাকায় মহিলার দেহে করোনার সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় আতংকিত স্হানীয় বাসিন্দারা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Burdwan, Corona positive, Corona Virus, COVID-19