পুর্ব মেদিনীপুর
মাটির জায়গায় প্লাস্টিক! মাটির টবের জায়গায় প্লাস্টিক টব! প্রতিযোগিতায় মাটির তৈরি টবকে কোণঠাসা করেই বাজারের দখল নিচ্ছে প্লাস্টিকের তৈরি টব। প্লাস্টিকের রমরমায় তাই হারিয়ে যাওয়ার জোগাড় মাটির তৈরি গাছ লাগানোর টব এবং অন্যান্য জিনিসপত্রের। স্বাভাবিকভাবেই সঙ্কট বাড়ছে কুমোর পাড়ার মাটি শিল্পীদের!
আসলে আধুনিকতার ছোঁয়ায় মাটির কলসি থেকে ফুলের টব, সব জায়গারই দখল নিচ্ছে এইসব প্লাস্টিক টব। তাই কুমোরপাড়ায় চাহিদা কমছে মাটির টবের। অথচ কয়েক বছর আগেও মাটির কলসি, হাঁড়ি থেকে ফুলের টবের চাহিদা গগণচুম্বীই ছিলো। এখন আর তা নেই বললেই চলে। বাজারে মাটির টবের পরিবর্তে প্লাস্টিক টব চলে আসায় এবং চাহিদা থাকায় প্রভাব পড়েছে মাটির টব তৈরিতে। স্বাভাবিক ভাবেই মন ভাল নেই পুর্ব মেদিনীপুরের কুমোর পাড়ার মাটি শিল্পী বা কারিগরদের।
মনখারাপ মাটি থেকে তৈরি জিনিসপত্রের বিক্রেতাদেরও। আগের থেকে মাটির তৈরি গাছ লাগানোর টবের বিক্রি অনেকটাই কমেছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। সাধারণ মানুষজনের প্লাস্টিক টব কেনার হিড়িক আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে বলে জানান প্লাস্টিক টব বিক্রেতারা। দাম কম। ওজনও কম। ছাদ বাগানের পক্ষে তাই প্লাস্টিক টব বেশি ভাল। যা চাহিদা বাড়ার বড় কারণ বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। এটিই মাটির টব তৈরির শিল্পী ও কারিগরদের সঙ্কট বাড়াচ্ছে। দিন দিন সঙ্কট আরও বাড়ছে। আগামীদিন যে আরও কঠিন হতে চলেছে, সেকথাই জানাচ্ছেন সকলে। জানাচ্ছেন মাটি শিল্পী দুলাল বর, দিলীপ পাল থেকে বিক্রেতা দীপক দাস, সবুজ সামন্তরা।
সুজিত ভৌমিক
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Medinipur