#পশ্চিম মেদিনীপুর: ব্যস্ততম রাজ্য সড়কের দু'ধারে কাদা। আর, তার জেরেই মঙ্গলবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরে ঘটে গেল ভয়াবহ দুর্ঘটনা! জমি থেকে ট্রাক্টর, হার্ভেস্টার ওঠার পর, সেই কাদা জমে যায় রাস্তার উপর। আর, সেই কাদাতেই পিছলে গিয়ে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটর বাইক চলে আসে দাঁতন-বেলদাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সামনে। মোটরবাইক আরোহীকে বাঁচাতে গিয়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যাত্রী বোঝাই বাসটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় রাস্তার পাশে নয়ানজুলিতে। ঘটনায় গুরুতর আহত প্রায় ১৫ জন যাত্রী। তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দাঁতন থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থেকে বেলদার দিকে আসছিল যাত্রীবাহী বাসটি। বেলদা ঢোকার আগে, বামনপুকুরের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে চলে আসে উল্টো দিকে যাওয়া একটি মোটর বাইক। বাইক আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে, নয়ানজুলিতে উল্টে যায় যাত্রীবোঝাই বেসরকারি বাসটি। ঘটনায় আহত হয়েছেন বাসের চালক-সহ ১৫ জন যাত্রী। খবর পেয়ে তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দাঁতন থানার পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের সাথে স্থানীয়রাও উদ্ধার কাজে হাত লাগান। স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, এইভাবে ব্যস্ততম জাতীয় সড়ক বা রাজ্য সড়কের দুই পাশে কাদা জমে যাওয়ার জন্যই বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যা। তাঁদের দাবি, এ'বিষয়ে প্রশাসনের পদক্ষেপ করা উচিৎ।
অন্যদিকে, হাওড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একসঙ্গে মৃত্যু বাবা ও ছেলের। মঙ্গলবার সকালে নিজেদের কারখানাতেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার বাবা এবং ছেলে৷ কারখানার মেশিনে হাত দিতেই ছটপট করছে বাবা৷ কোনও কিছু না ভেবেই বাবাকে বাঁচাতে ঝাপিয়ে পড়েছিল ছেলে৷ বাবাকে তো বাঁচানো গেলই না, উল্টে প্রাণ গেল তরতাজা যুবকেরও। খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নামে হাওড়ার জগাছা থানার অন্তর্গত ইছাপুর পূর্ব পাড়ায় ৷ জানা যায়, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে নিজের কারখানায় কাজ করতে আসেন ইছাপুর ক্যানেল রোডের বাসিন্দা বছর ৫৫ বছরের শৈলেন হাজরা৷ কাজ বেশি থাকায় সঙ্গে নিয়ে আসেন ছেলে স্বপ্নিলকেও৷ হিট চেম্বার কারখানায় কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন শৈলেনবাবু, তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে ছেলেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ৷
Partha Mukherjee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: West Medinipur